

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পুলিশের নিরবতায় হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী প্রকাশ্যে চলাফেরা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রেফতার না হওয়া আসামীর প্রকাশ্য হুমকিতে চরম বিপাকে পড়েছেন জিল্লুর রহমান নামে এক মামলার বাদী। তবে পুলিশের দাবি, আসামী আত্মগোপনে থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা। অন্যদিকে বাদীর অভিযোগ, মামলার প্রধান আসামী থানা বেষ্টনীর মধ্যে এসে দেদার ঘুরাফেরা করলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে দেখেও না দেখার ভান করছেন। যে কারণে পুলিশের ভুমিকা ও ন্যায়-বিচার পাওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাদি ও তার পরিবার।
এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত দুই নম্বর আসামী মিজানুর রহমান চক্রান্ত করে মূল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে স্থানীয় আজাদ মেমোরিয়াল স্কুলের কোমলমতী শিক্ষার্থীদের দিয়ে কৌশলে বাদি জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ওই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ও এলাকায় একজন চিহিৃত মামলাবাজ বলে বাদি তার এজাহারে উল্লেখ করেন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে আজাদ মেমোরিয়াল স্কুলের এক শিক্ষক জানান, সনদ জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তি ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ ভাগিয়ে নেন মিজানুর রহমান। সনদ জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় গত ৯-৯-২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে স্কুল কলেজ ও জনবলকাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা ২০১০-(২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত)এর-১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মিজানুর রহমানের এমপিও চুড়ান্তভাবে বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরেও স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে বাদির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী চিঠি ইস্যুর পর মিজানুর রহমান ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ হারিয়েছেন, সেখানে প্রধান শিক্ষক তাকে স্বপদে বহাল রাখেন কিভাবে? এটার তদন্ত হওয়া দরকার বলে দাবি তার।
মামলার বাদি জিল্লুর রহমান বলনে, পূর্বশত্রæতার জেরে আসামীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়েছে। এবিষয়ে ন্যায় বিচার পেতে আমি রামগতি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করি। কিন্তু মামলা দায়েরের পর চার মাস অতিবাহীত হলেও পুলিশ প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করছেনা। অথচ সে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে ঘুরাফেরা করছে। অন্যদিকে অপরাপর আসামীরা মামলা তুলে নিতে আমাকে চাপপ্রয়োগ সহ গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মেহরাজ বলনে, পূর্বশত্রুতার কারণে জিল্লুর রহমান আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। এলাকায় এসে খোঁজ নিয়ে জানেন, এর বেশি কথা না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
রামগতি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসনে বলেন, মামলাটি তদন্তাধিন। তবে মামলার তদন্ত র্কমর্কতার সাথে কথা বলার অনুরোধ করনে তিনি।