
সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে কমলনগরের ফজুমিয়ারহাট বাজারের জনপ্রিয় হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। বেস্ত সড়কের পাশে খোলামেলা পরিবেশে তৈরী হওয়া খাবার খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, হোটেল মালিক বেলাল হোসেন,সড়কের পাশে খোলা জায়গায় বিভিন্ন যানবাহন ও বাতাশে উড়ে যাওয়া ধুলোবালি মিশ্রিত এ খাবারের হোটেলটি বছরের পর বছর চালিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট স্যানিটারী ইন্সপেক্টর কোনো ধরনের ব্যবস্তা নিচ্ছেননা।
এছাড়া হোটেলের সামনে খোলা জায়গায় চুলো বসিয়ে তৈরী করছেন খাবার। ওই খাবারে ধুলোবালি উড়ে গিয়ে মিশ্রিত হচ্ছে। ওই খাবারই খাওয়াচ্ছেন মানুষকে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দোকানের সামনে চুলো বসিয়ে পরোটা, নানরুটি সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হচ্ছে। কারিগরের হাতে সিগারেট জ্বলছে। ওই সিগারেটের সুকা ময়দার খামিরে পড়ছে। তাতে কোনই খেয়াল নেই কারোর। এছাড়া সড়কে চলাচলকারী বালু ও ইট বোঝাই ট্রাক্টর থেকে বালু উড়ে গিয়ে পরোটা তৈরির খামির ও ডিমের সাথে মিশ্রিত হচ্ছে। ওই খাবার নির্দিদায় কাষ্টমারদের মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন হোটেলটি চালু করার শুরু থেকেই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মুখরোচক বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে আসছেন। অত্যান্ত সংকীর্ণ ও বেস্ত সড়কের পাশে এবং দোকানের সম্মুখে খোলামেলা চুলো বসানোর কারণে রাস্তার ধুলাবালি উড়ে গিয়ে খাবারের সাথে মিশছে।
এতে একদিকে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে দোকানের পিছনে সরকারি খাস জায়গা দখল করে বানিয়েছেন রান্নাঘর। খাস জমি উদ্ধার করা সহ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি বন্ধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
এবিষয়ে জনপ্রিয় হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের মালিক বেলাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর মো. রিয়াজ বলেন, বিষয়টি খুবই দু:খজনক। তবে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাশের মুঠোফোনে ফোন করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।