শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রাত ৮:৫৩

ঈদগাঁওয়ে রশিদ হত্যা- একযুগ পর মামলা, পুলিশ সহ আসামি শতাধিক 

47Shares


পলাতক আওয়ামী লীগের জিঞ্জিরখ্যাত “পোষ্য মানবতা  বিরোধী অপরাধ” নামক নাটক মঞ্চস্থ করতে দেশের প্রখ্যাত আলেম ও জামায়াত ইসলামির শীর্ষ নেতা মরহুম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আটক পরবর্তী সময়ে জামায়াত ইসলামি ও দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের আন্দোলন চলাকালীন মুহূর্তে পুলিশের ছোরা গুলিতে নিহত হন আব্দুর রশিদ (৩২)।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঈদগাঁও বাসস্টেশনে হরতালে  ৬-৭ হাজার মুসল্লী  মিছিল অংশ নেন। এসময় পুলিশ বাহিনী  মিছিলে থাকা জামায়াতের নেতা-কর্মীদের লক্ষ করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আব্দুর রশিদ।

এ ঘটনায় দীর্ঘ ১২ বছর পর চলতি মাসের  ২৬ (জানুয়ারি) রবিবার  ঈদগাঁও থানার তৎকালীন  পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এ.কে.এম  মঞ্জুর আলমকে প্রধান ও ২৩জন পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের ২৮জন স্থানীয় নেতাকে অভিযুক্ত করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট( ঈদগাঁও) আদালতে নিহতের বড় ভাই আক্তার হোসাইন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  মামলায় আরও  অন্তত ৫০- ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি  করা হয়।

আদালত মামলাটি গ্রহন করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ঈদগাঁহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে ৬-৭ হাজার মুসল্লী ও সাধারণ মানুষ দুপুরে ঈদগাঁও বাস-স্টেশনে মিছিল করেন। ওই মিছিলে বাদীর ছোট ভাই আব্দুর রশিদও উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়েন এবং আব্দু রশিদকে থানায় নিয়ে যান। ৫ নম্বর  আসামি এএস আই রুপন নিহত আব্দুর রশিদের  বাহুতে গুলি করে। আব্দু রশিদের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয় এবং ২৩ নম্বর আসামি প্রিয়তোষ দাশ তলপেটে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য নিহত আব্দুর রশিদ কক্সবাজার জেলা, ঈদগাঁও উপজেলা, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতজুলাকাটা গ্রামের মরহুম হাজী ইলিয়াসের ছোট ছেলে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি ।

47Shares

শেয়ার করুন