
আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারা উপজেলা ৬ নং বারখাইন ইউনিয়নে সন্তান সহ এক বৃদ্ধকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপানোর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া ব্যক্তিরা হলেন মো: লোকমান এবং তার পুত্র শাহরুখ সাইমন। গত ১১ ই জানুয়ারি আনুমানিক দুপুর ১২.০৫ এর সময় বারখাইন ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মারাত্মক আহত হওয়া অপর ভুক্তভোগী শিক্ষানবীশ আইনজীবী ফারুক ইমন বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলাটির শিকার মোহাম্মদ লোকমান এবং আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের পথ সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মধ্যযুগীয় কায়দায় লোকমান পরিবারের উপর হামলা হলে, তাহারা ২২ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন। পলাতক আসামীরা হলেন একই এলাকার বাসিন্দা মো: ফারুখ প্রকাশ মিন্টু,মো : জাগির,সাইফুল ইসলাম প্র: সাহাব উদ্দিন ও কুদ্দুস। ২২ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলায়, আসামীরা দীর্ঘদিন হাজত বাস করেন। হাজতবাস শেষ হওয়ার পর থেকে আসামীরা বিভিন্ন ভাবে লোকমান পরিবারকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।সেই ধারাবাহিকতায় গত ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ইং তারিখে আসামীরা মোহাম্মদ লোকমানকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষার গালিগালাজ করেন এবং সাথে সাথে ইট- জুতা নিক্ষেপ করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে আসামীরা তাকে মাথায় কোপ দেন। তার চিৎকার শুনে তার পুত্র শাহরুখ সাইমন রক্ষা করতে গেলে আসামীরা তাকে ও মাথায় কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে। মাথার কোপ ঠেকাতে গেলে সাইমন ডান হাতে মারাত্মক জখম হয়। বাবা ও ভাই কে রক্ষা করে হাসপাতাল নিতে চেষ্টা ও প্রতিবাদ করায় আসামীরা মামলার বাদীকে কিল-ঘুষি মেরে,মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে অন্ডকোষে সজোরে আঘাত করে সাথে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনা পরবর্তী আসামীদের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোন ধরণের মন্তব্য করতে রাজি হন নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী ইমন জানান, আসামীরা বর্তমানে পলাতক থাকলে ও তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে; আমরা প্রাণভয়ে আছি। এর আগেও আমি এবং আমার পরিবার তাদের হামালার শিকার হয়েছিলাম তখন আমার মাথায় এবং আমার চাচাত ভাই মোস্তাক আহম্মেদকে মাথায় কিরিস দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে আহত করেছিলো, ওই মামলার চার্জসিট ও থানা থেকে কোর্টে প্রেরন করা হয়ছে। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, চিকিৎসকের ছাড়পত্র এখনো আমাদের হাতে পৌঁছাই নি। সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত কাজ চলমান। আসামিরা পলাতক,আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মো: ফারুখ প্রকাশ মিন্টু,মো : জাগির,সাইফুল ইসলাম ও কুদ্দুসের নামে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা,জুয়ার বোর্ড পরিচালনা ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।