
দেশের ব্যবসা খাতে বিনিয়োগকারী হিসেবে শীর্ষ করদাতার (সিআইপি) তালিকায় টানা ৮ম বারের মতো স্থান করে নিলেন লক্ষ্মীপুরের আবদুল করিম।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ উপলক্ষে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
আবদুল করিম লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি এর আগেও পৃথক পৃথকভাবে ৭ বার সিআইপির তালিকায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর এ সাফল্যজনক অধ্যায়ে তার গর্বিত পিতা আলহাজ জাফর আহমদ সহ পরিবারের সকলকে প্রশংসিত করেছেন। একইসাথে গর্বিত করেছেন নিজ এলাকাবাসীকে।
এদিকে তার বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার কারণে অর্জিত সাফল্য ও কৃতিত্বপূর্ণ স্মারকপ্রাপ্তিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামস্থ রামগতি-কমলনগর উপজেলা সমিতি, কমলনগর প্রধান শিক্ষক পরিষদ, কমলনগর প্রেসক্লাবের আহবায়ক মুছা কালিমুল্লাহ, সদস্য সচিব আমানত উল্লাহ, পুলিশ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বার্তায় অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
জানা যায়, রেমিটেন্স যোদ্ধা আবদুল করিম তার অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে মধ্য প্রাচ্যের দেশ ওমানে গড়ে তুলেছেন গ্লোবাল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তার পরিচালিত বিভিন্ন কর্মমুখী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এলাকার মানুষজন। ফলে তার প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মরত প্রবাসীরা প্রতি বছর দেশে পাঠাচ্ছেন বিলিয়ন মিলিয়ন ডলার।
এছাড়া নিজ জেলা শহর লক্ষ্মীপুরে গড়ে তুলেছেন হাসপাতাল সহ একাধিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য কেন্দ্র।
সিআইপি হওয়ার প্রথম গল্পটা ছিল ২০১৭ সালের। নিজের মেধা ও প্রজ্ঞায় ব্যবসার উন্নতি সাধন করে প্রথম বার এ মর্যাদায় ভূষিত হন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৭ম বার সিআইপি খেতাব অর্জন করার গৌরব এতদাঞ্চলের একমাত্র তারই। এবার ২০২৫ সালে ৮ম বারের মতো সিআইপির কৃতিত্ব অর্জন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
জানা গেছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার তথ্য এবং তার পারিবারিক পারিপার্শ্বিক ও রাজনৈতিক দিক বিবেচনায় ইতিবাচক রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক এনআরবি বছরের মর্যাদাপূর্ণ এ সিআইপি নির্বাচন করে।
এব্যাপারে (সিআইপি) আবদুল করিম জানান, আমি দেশের অনেক মানুষকে বিদেশে পাঠিয়ে তাদের পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে চলেছি। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের প্রয়োজনে অবদান রাখছে। জনকল্যাণে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।