বুধবার, ২৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, দুপুর ১:০৬

রামগতিতে শিক্ষককে জড়িয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার

0Shares

লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ বাজারের একটি গলির পথঘেষে ব্যক্তিমালিকানাধিন জমির উপর  দোকানঘর নির্মাণ করা নিয়ে ফেসবুকে উদ্দেশ্যমুলক
  অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন আব্দুল মতিন নামের ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।

তিনি জানান, আমার খরিদ করা জমিতে দোকানঘর উত্তোলন করেছি, এতে করে কারো সমস্যা হওয়ার কথা না। ইতোমধ্যে একটি পক্ষ আমাকে জড়িয়ে ফেসবুকে নানানভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন।  আমি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পাঠক ও নিন্দুকশ্রেণীর লোকজনের জ্ঞাথার্থে  আমার জমির মালিকানার প্রমানাধি নিম্মে বর্ণনা করা হল…

১। রায়তি সত্ত্বে মালিক আবিদ মিয়া, পিতা- ননা মিয়া হইতে ৩০/১২/১৯৭৪ ইং ৩১০০০ দলিলমূলে ক্রয়সূত্রে
মালিক মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া, পিং মৃত মনছুর আলী  হইতে ৩০/৫/১৯৮৯ ইং তারিখের ৩৫৩১ দলিল মূলে মালিক (ক) মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুপ, পিতা: মৃত মোহাম্মদ কোরবান আলী (খ) মাওলানা মুহাং অলি উল্যা ফারুকী, পিতা: মৃত মোখলেছুর রহমান এর হইতে ৩০/০৫/১৯৮৯ ইং তারিখের ৩৭১৫ দলিল মুলে ক্রয় সুত্রে ১.৫০ (দেড়) শতাংশ ভুমির মালিক আবদুল কুদ্দুছ, পিতা-আবুল কাসেম।

২। রায়তি সত্ত্বে মালিক আবিদ মিয়া, পিতা- ননা মিয়া হইতে ৩০/১২/১৯৭৪ ইং ৩১০০০ দলিলমূলে ক্রয়সূত্রে
মালিক মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া, পিং মৃত মনছুর আলী  হইতে ২৫/০৯/১৯৮৫ ইং ৩৫২৯ দলিলমুলে ক্রয়সূত্রে  মালিক আবুল কালাম, পিতা- মোখলেছুর রহমান হইতে ২৭/১১/১৯৯১ ইং ৫৯৫১ দলিল মুলে ১.৫০ (দেড়) শতাংশ ভুমির মালিক আবুল কাসেম, পিতা মৃত হাজী মোখলেছুর রহমান।
যা ২৫ নং চর পোড়াগাছা মৌজার ৬৮ নং খতিয়ানের ৭৪, ৭৫, ৭৬, ১৪৯ দাগ এবং একই মৌজার দিয়ারা ৯১ নং খতিয়ানের ৬৪৪ দাগ। উভয় খতিয়ানের মোট ৫ দাগ, আপোষে ৬৪৪ দাগে মোট ৩ (তিন) শতাংশ জমির মালিক আবদুল কুদ্দুছ ও হাজী আবুল কাসেম।

এই ৩ (তিন) শতাংশ ক্রয়কৃত দিয়ারা ৬৪৪ দাগের ভূমি দাতা মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া গ্রহীতাদেরকে দিয়ারা ৬৪৫ দাগে ভুল জায়গায় ভূমি দখল দেন। দীর্ঘ ৩৫/৩৬ বছর পর ২০২৪ সালে দিয়ারা ৬৪৫ দাগের ভূমির প্রকৃত মালিক মাষ্টার রুহুল আমিন সাহেব আমাদের তার জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। আমরা আমাদের জায়গা বুঝে পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলি।

পরবর্তীতে ৬৪৪ দাগের সকল ঘর মালিকদের দলিল ও অন্যান্য ডকুমেন্টস যাচাই করে, আমিন দিয়ে পরিমাপ করে দেখা যায় সাবেক দিয়ারা ৬৪৪ দাগ, হালে ২৯০৮ দাগে ঘর মালিক আবদুল কাদের, পিতা- বদু মিয়া (০.৩৩৩ শতাংশ), আবুল কাশেম, পিতা-দুধা মিয়া (০.৩৩৩ শতাংশ) এবং আবুল কাশেম,  পিতা- আবিদ মিয়া (০.৩৩৪ শতাংশ) মোট ১ (এক) শতাংশ ভূমি অবৈধভাবে রেকর্ড লিপি করে  দখল করে আছেন।
সাবেক দিয়ারা ৬৪৪ দাগ, হালে ২৯০৪ দাগে ঘর মালিক আবুল বাশার এর নিকট  ০.৫০ (অর্ধ) শতাংশ ও হালে ২৯০৪ দাগে মালিকানা তরকারি গলির দক্ষিণ পাশে খালি জায়গায় ১.৫০ (দেড়) শতাংশ ভূমি মোট ৩ শতাংশ আমাদের মালিকানা ভূমি।
আমাদের মালিকানা জায়গার কিছু অংশ খালি পেয়ে আমরা একটা একচালা ঘর তুলি। এ বিষয়ে বাজার উপদেষ্টাদের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান ও বাজারের উপদেষ্টামন্ডলী কোন সমাধান দিতে পারেন নি।

পরবর্তীতে বাজারের উপদেষ্টাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং শনিবার টিএনও, এসিল্যান্ড স্যার এর প্রতিনিধি সার্ভেয়ার আমিন ও তহসিলদার এসে সকল ডকুমেন্টস যাচাই করে তরকারি গলির সম্পূর্ণ জায়গা মালিকানা জায়গায় উল্লেখ করে বাজারের উপদেষ্টা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে লিখিত প্রতিবেদন দেন ও পড়ে শোনান। এই গলিতে কোন সরকারি জায়গা নেই সার্ভেয়ার স্পষ্ট বলে দেন।

এই তরকারি গলির উত্তর পাশে ৬৪৩ দাগের মালিকগণ গলির জন্য ৭ ফুট জায়গা রাখেন এবং দক্ষিণ পাশে ৬৪৪ দাগের মালিকদের থেকে ৭ ফুট জায়গা নিয়ে মোট ১৪ ফুট জায়গা গলির জন্য রেখে গলির দক্ষিণ পাশে ১২ ফুট খালি থাকা আমাদের ক্রয়কৃত মালিকানা জায়গায় ঘর তুলতে সার্ভেয়ার আমিন নির্দেশ দেন।

এদিকে ৬৪৫ দাগের প্রকৃত মালিক আমাদেরকে তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় ও তালাবদ্ধ করে আমাদের ঘর দখল নিয়ে নেয়। আমরা বাজারের উপদেষ্টা, বাজার কমিটি ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে জানিয়েও কোন প্রকার সহযোগিতা পাইনি।

এখন আমাদের ক্রয়কৃত মালিকানা ভূমিতে ঘর করলে কিছু কুচক্রীমহল আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছে, যে আমরা গলির মুখ দখল করে ঘর তুলেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মিথ্যা নিউজ প্রচার করে আমাদের বিব্রত ও সম্মান হানি করছেন।

আমি এই ব্যাপারে হাজীগঞ্জ বাজার কমিটি ও প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের মালিকানা ভূমি অবৈধ দখলদারদের থেকে ফিরে পেতে ও যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।

মাওঃ আবদুল কুদ্দুছ, পিতা- হাজী আবুল কাসেম
হাজী আবুল কাসেম, পিতা- হাজী মোখলেছুর রহমান
সাং চর বেদমা, রামগতি, লক্ষ্মীপুর।

0Shares

শেয়ার করুন