
মিজানুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:০৩-০৯-২০২৫ সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। কুড়িগ্রাম কারাগারে ডিভিশনের ব্যবস্থা না থাকায় অন্যন্য কয়েদির মত তাঁকে জেল হাজতে রাখা হয়েছে। কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার কেজি মাহামুদ জানান কুড়িগ্রাম কারাগারে ডিভিশনের সুবিধা না থাকায় অন্যন্য কয়েদির মত ২০ জন মহিলা কয়েদির সাথে তাঁকে একই রুমে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন গত ৫ বছর আগে কুড়িগ্রামে কর্মরত থাকাকালীন অবস্থায় বাংলা ট্রিবিউন- এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বাড়ি থেকে তুলে অমানবিক নির্যাতন করেন এবং তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করেন। পরে নির্যাতিত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান বাদি হয়ে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত সাংবাদিক আরিফুর ইসলাম রিগান। পরে সেই মামলার প্রধান আসামি সুলতানা পারভীনকে হাইকোর্ট থেকে ৩ মাসের জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতে জামিন নিতে স্বশরীরে হাজির হলে কুড়িগ্রামের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ ইসমত আরা তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য ২০২০ সালে মার্চ মাসে মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে বাংলা ট্রিবিউন- এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্ট। পরে রাত দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মাদক মামলায় এক বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে রাতেই জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে সাংবাদিকের আন্দোলনের মুখে পরদিনই নিঃসর্তে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় জেলা প্রশাসন। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের আইনজীবী এডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু বলেন, চার্জশিটের প্রধান আসামি সুলতানা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক ও সুষ্ঠু রায় পেয়েছি।