
রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুরঃ জামালপুরের মেলান্দহে প্রথিতযশা সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গীর মৃত্যুর ৮ মাসের পর কবর থেকে লাশ উত্তোলনের ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সোমবার (১সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ওই সাংবাদিকের নাংলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। তিনি জামালপুরের বহুল প্রচারিত দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক,মেলান্দহ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং জামালপুর প্রেস ক্লাবের কার্যনিবার্হী সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর প্রায় ১০০ দিন পর হত্যা মামলা দায়ের করেন দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা। বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে মামলার তদন্ত এবং লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়। ১ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মেলান্দহ ইউএনও এস.এম.আলমগীর,পিবিআই ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউএনও। প্রথিতযশা এই সাংবাদিকের মৃত্যুর বিষয়ে পত্রপত্রিকায় এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,গত ২১ ডিসেম্বর ২৪ইং সন্ধ্যায় জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় ইজিবাইকের সাথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। স্থানীয়রা তাকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ৩১ আগস্ট দিবাগত রাতে নূরুল হক জঙ্গীর দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমার ফেসবুকে তার স্বামীর লাশ উত্তোলনের একটি পোস্ট করলে হইচই পড়ে যায়। পরদিন সকাল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয়রা ওই সাংবাদিকের কবরস্থানে ভীড় করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,পারিবারিক দ্বন্ধের জের ধরে নূরুল হক জঙ্গীর দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা বাদি হয়ে তার প্রথম স্ত্রী কাজলী, দুই মেয়ে, জামতা, প্রেস কর্মচারিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উত্তোলনকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মামলার বাদি, বিবাদী, নাতি-নাতনীসহ সুভাকাঙ্খিদের হৃদয় বিদারক বিলাপ-আর্তির করুন দৃশ্য।