
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সেকান্তর আলম নামে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর দুইটার দিকে কমলনগর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেকান্তর আলম কমলনগর উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অধ্যবদি পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দলের দুর্দিনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। বিএনপি করে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। দল করে অনেক নেতা-কর্মী মামলায় জর্জরিত হয়েছে। নিজের টাকা খরচ করে সেসব নেতা-কর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করেছি। জেলে থাকা নেতা-কর্মীদের পরিবারের পাশে থেকে সহযেগিতা করেছি। থেমে থাকিনি কখনো।
তিনি বলেন, অনেক অসহায় নেতা-কর্মী প্রতিনিয়ত সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসে,আমি আমার সাধ্যমতো তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। একটি সুবিধাবাদী গ্রুপ আমার কারণে ধান্ধাবাজি, চাঁদাবাজি করতে না পেরে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমাকে ঈঙ্গিত করে কিশোরগ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার ভিত্তিহীন প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে । এসময় তার বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচারের সত্যতা খুঁজে পেলে তা পত্রিকা এবং টেলিভিশনে প্রচার করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, পতিত সরকার পতনের পর হঠাৎ একটি গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। একের পর এক নাটক সাজিয়ে আমাকে বিএনপি থেকে দুরে সরিয়ে অবৈধ ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমার মানক্ষুন্ন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কর্মী মো. রুবেল, মো. মিলন ও মো.জিহাদ প্রমুখ।