
কুমিল্লা(মেঘনা) প্রতিনিধি : তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার দুই সাপ্তাহ পার হলেও মেঘনা উপজেলার মানিকার চর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে মেঘনা উপজেলার মানিকার চর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা আক্তারের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীগণ মানব বন্ধন করে। এবং সেই সাথে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর প্রধান শিক্ষক রেহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ৬ মে মঙ্গলবার তদন্ত কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। তদন্ত রিপোর্টে অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশির ভাগ অভিযোগ সত্যতার প্রমাণ পায় তদন্ত কর্মকর্তাগণ। সেই সাথে বিদ্যালয়ের স্বার্থে তার বদলিসহ নয়টি বিষয়ে সুপারিশ করে তদন্ত কর্মকর্তাগণ। কিন্তু জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার দুই সাপ্তাহ পার হলেও রেহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে গত ২২ মে ২০২৫ইং তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি রিপোর্টটি পেয়েছি কিন্তু এখনো দেখার সুযোগ হয়নি। অন্যদিকে এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন আশংখা করে জানান প্রধান শিক্ষিকা স্থানীয় শিক্ষক নেতাদের নিয়ে কুমিল্লা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তদবির করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করছে বলেও জানা যায়। সেই সাথে ক্লাস চলা কালে ছাত্র-ছাত্রীদের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে সাদা চিরকুটে তাদের দিয়ে অভিযোগ মিথ্যা লেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। এই বিষয়ে অবগত হয়ে সহকারি শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন বিদ্যালয়ে যেয়ে ঘটনার সত্যতা পায়ে এবং মৌখিকভাবে হুশিয়ারি করে দেন। এদিকে এলাকাবাসীর দাবি তদন্তের প্রেক্ষিতে এমন দুর্নীতি পরায়ন প্রধান শিক্ষিক রেহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরবে এবং সেই সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে শিক্ষা জীবনের বিরুপ প্রভাব পড়বে।