চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৩নং কামলাপুর গ্রামের অবৈধ অস্ত্র, মাদক,ইয়াবা, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাঁধা সৃষ্টি করলে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার পঞ্চায়েত মো: মঈনুল বখস (৪৫), আব্দুল কদ্দুস (৪৪), ফেরদৌস মিয়াগংদের উপর হামলা চালিয়েছে একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রাজিব আহমদ (২৮), তার ভাই উজ্জল মিয়া (৩০) ও আব্দুর রাজ্জাক (২৫)সহ অজ্ঞাতনামা লোকজন। সর্বশেষ এ ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল কদ্দুস বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা ( নং- ০৭/১৩৬, তারিখ : ০৬/০৫/২০২৫ইং) দায়ের করেছেন এবং বিশিষ্ট শালিশ ব্যক্তিত্ব কাজী মো: মঈনুল বখস জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের উপর গত ৭ মে মৌলভীবাজার মডেল থানায় জিডি (জিডি নং- ৩৭২, তারিখ : ০৭/০৫/২০২৫ইং) দায়ের করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- গত ৩০ এপ্রি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে মাদক ব্যবসায়ী সামছুলসহ ৪জন এলাকার পঞ্চায়েত-এর সামনে তাদের সকল অপকর্ম স্বীকার করে। অবৈধ অস্ত্র, মাদক,ইয়াবা,চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের এসব ঘটনার মূলহোতা হিসাবে রাজিব-এর নাম উল্লেখ করেন। এলাকার পঞ্চায়েত উক্ত রাজিবকে সংশোধন হওয়ার পরামর্শ দেন। নতুবা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে মর্মে ঐদিন সর্বসম্মত্তিক্রমে একজোটবদ্ধ গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শালিশ ব্যক্তিত্ব কাজী মো: মঈনুল বখসসহ অন্যান্যদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মো: মঈনুল বখস বলেন- রাজিবের কাছে অবৈধ অন্ত্র রয়েছে। গ্রাম্য পঞ্চায়েত- এর সামনে তার সহযোগীরা নিজ মুখে স্বীকার করেছে। এর পরও পুলিশ উক্ত অস্ত্র উদ্ধার করতেছে না। আমরা এলাকায় প্রতিবাদী হওয়ার কারণে আমিসহ ৩জনকে হত্যার পরিকল্পনা ছিলো। সে বিষয়টিও স্বীকারোক্তি মূলক। তিনি আশংকাকা করে আরো বলেন- রাজিবগংরা এলাকায়, মদ,গাঁজা, ইয়াবা,হিরোইন, ফেন্সিডিল, অবৈধ অস্ত্রসহ এমন কোন খারাপ কাজ নেই, যা করতে পারে না। তার সহযোগী সামছুলসহ যে ৪জন অপকর্মের স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে, তাদের জীবন হুমকির সম্মুখীন। প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করলে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে গ্রামবাসীকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো: মাহবুবুর রহমান- মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।