লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ভ্রাম্মমাণ আদালত বসিয়ে
অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসা চারটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসময় জরিমানা হিসেবে নগদ ১০ লাখ টাকা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ভাটায় নির্মিত ইট পোড়ানোর হাউজ- চিমনী এবং তৈরী করা কাঁচা ইট ভেকু (এস্কেভেটর) মেশিন দিয়ে বিনষ্ট করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা না করার সতর্কতা হিসেবে এর মালিকদের প্রত্যেকের থেকে আলাদা আলাদা ভাবে মুচলেকাও নেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত দিনব্যাপী উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজল এলাকায় গড়ে ওঠা ৪ টি ইটভাটায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে স্থানীয় মো. তাহেরের মালিকানাধীন মেসার্স ফোর স্টার ব্রিকস, মো. গিয়াস উদ্দিনের মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস, মো. আকবর হোসেনের মেসার্স শাহপরান ব্রিকস ও চেয়ারম্যান দিদার হোসেনের মালিকানাধীন মেসার্স শাহজালাল ব্রিকস অবৈধভাবে কার্যক্রম চালু রাখার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ইউএনও। এবং তাৎক্ষণিকভাবে এ অর্থ আদায় করা হয়। এ সময় ইটভাটাগুলোর চিমনি, ভাটা এবং বিপুলসংখ্যক কাঁচা ইট বিনষ্ট করে ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এছাড়া পৃথক অভিযানে অবৈধ বালুর ভিটাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভিটার ব্যবসায়ী, ম্যানেজার এবং মোটরযান চালক সহ সাত জনকে মোট ৭৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ এবং তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট সৈয়দ আমজাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ঝন্টু বিকাশ চাকমা।
সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পরিচালক মো.হারুনর রশিদ পাঠান, রামগতি থানা পুলিশের সদস্য ও রামগতিস্থ (আলেকজান্ডার বাজার ক্যাম্পে) দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের বিষয়ে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।