,লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৭ বছরের কণ্যা শিশুকে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগ উঠেছে তারই ফুফার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাকসুদকে (৪২) কানে ধরিয়ে উঠবস ও ছয় বেত্রাঘাত দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিশুটির মা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে পৌর আলেকজান্ডার সমবায় গ্রামের বাকলাই বাড়ীর সামনে নাছির মাওলানার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মাকসুদ চর বাদাম ইউনিয়নের কারামতিয়া এলাকার খালেকের ছেলে। সম্পর্কে শিশুটির ফুফা হওয়ার সুবাদে সে প্রায়ই ওই ঘরে যাতায়াত করতো।
জানা যায়, ভূক্তভোগী শিশুটির বাবা পেশায় রিকশা চালক। পরিবার নিয়ে থাকেন ভাড়া বাসায়। ঘটনার দিন শিশুটির মা বোনের প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যান। আর বাবা জীবিকার প্রয়োজনে বেরিয়ে পড়েন রিকশা নিয়ে। এই সুযোগে ঘরে প্রবেশ করেন অভিযুক্ত মাকসুদ। ঘরে একা পেয়ে সে শিশুটির পরনের পায়জামা খোলার জন্য জোরাজুরি করে। শিশুটি তার পরনের পায়জামা না খোলায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাকসুদ চিরুনী দিয়ে শিশুটিকে মারধর করে।
এ সময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত মাকসুদ তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়।
ভূক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়েকে বাসায় রেখে বোনের ছেলের চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যাই। বাড়ীতে আসলে মাকসুদ আমার মেয়ের পরনের সেলোয়ার খোলার চেস্টা করে বলে মেয়ে ও প্রতিবেশীরা আমাকে জানায়। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অভিযুক্ত মাকসুদকে ছয় বেত দিয়ে, কান ধরে উঠবস করিয়ে ও মুচলেকা নিয়ে গ্রামছাড়া করেন।
এ বিষয়ে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি তবে চেষ্টা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে বলেছি। অভিযুক্তকে আটক করার চেস্টা করছি।