
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর।পবিত্র রমজান মাসের ৩০ দিন রোজা রাখার পর চাঁদ দেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। এই বিশেষ দিনে সকল মুসলিম ভাই মিলে ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর একে অপরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আলিঙ্গন করেন।
ঈদুল ফিতর শুধু আনন্দের উৎসবই নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব এবং সামাজিক সম্প্রীতিরও বার্তা বহন করে। এই দিনে ধনী-দরিদ্র সকলেই একসাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন।
এ দিনটি উদযাপন, আনন্দ ভাগাভাগি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে সোমবার ঈদের নামাজ শেষে (দুপুরে) লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রুগীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশে’ কমলনগর ও রামগতি শাখার নেতৃবৃন্দ। এসময় রোগীদের চিকিৎসার বিভিন্ন খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি সকলকে নিয়ে মিষ্টিমুখ করেন তারা। পুরুষ রোগীদের প্রবল আবেগ আর অনুভূতিতে বুকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন নেতৃবৃন্দরা। এসময় সদ্য জন্ম নেওয়া এক নবজাতককে কোলে তুলে নিয়ে স্বাগত জানাতেও দেখা যায় তাদের। পরে নবজাতক সহ অসুস্থ রোগীদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় মোনাজাতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় । এতে রোগী ও স্বজনদের চোখে মুখে আনন্দ ও কিছুটা আবেগের সঞ্চার হতে দেখা গেছে।
এদিকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ নেতাদের এমন উদ্যোগকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও সর্ব সাধারণ মানুষ প্রশংসায় কুড়িয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কুমিল্লা বিভাগের দায়িত্বশীল মুফতি এ কে এম আব্দুজ্জাহের আরেফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার কার্যানির্বাহী সদস্য, মুফতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম, কমলনগর উপজেলা সভাপতি, হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি, মাষ্টার মোসলেহ উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলন কমলনগর উপজেলা সভাপতি, ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন, সহ-সভাপতি, মাওলানা আলী আজগর ফরিদী, সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন এর সভাপতি, নাহিদুল ইসলাম, শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ কমলনগর উপজেলা সহ-সভাপতি, মাওলানা মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সকল সহযোগী সংগঠনের কমলনগর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার কার্যানির্বাহী সদস্য মুফতি মুহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম যোগাযোগ প্রতিদিনকে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি মুক্ত ন্যায়, সাম্য, ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, দয়া, সহানুভূতি, মানবতা ও ইনসাফ বিত্তিক সমাজ গঠনের। তিনি
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিজেদের আশেপাশের অসহায়-দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলকে আহবান জানান।