

আশরাফ উদ্দিন নিজান আমাদের কমলনগর
উপজেলা উপহার দিয়েছে, আমরা ভোট উপহার দিয়ে সংসদে পাঠাব.. সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা
কমলনগর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের দুইবারের ভাইসচেয়ারম্যান
হোসনেয়ারা বাসার বলেছেন,তারেক রহমান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছেলে, তিনি কথা দিলে কথা নড়েনা। আমরা বিশ্বাস করি আশরাফ উদ্দিন নিজান ধানের শীষ নিয়ে আমাদের সামনে আসবেন ইনশাআল্লাহ।
শনিবার সন্ধ্যায় কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
চরলরেন্স ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মীর শিব্বির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম মোর্শেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত উৎসুক নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন জোটের কারণে কিংবা দেশী-বিদেশী কোনো কারণে যদি তিনি ধানের শীষ নিয়ে না ও আসতে পারেন তাহলেও আমাদের মার্কা হচ্ছে আশরাফ উদ্দিন নিজান। তিনি আমাদের দুইবারের এমপি ছিলেন, কোনো লুটপাট টেন্ডারবাজী করেননি। মামলা হামলা করে কাউকে হয়রানি করেননি। তিনি আপনাদের কাছে দীর্ঘ ২৫ বছরের পরীক্ষীত বন্ধু। আমরা আসা করি তার মার্কা যা-ই হোক আপনারা তাকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন।

একইভাবে চরমার্টিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আলী আহাম্মদ বলেন,এ রামগতি কমলনগরে বিএনপির একমাত্র অভিভাবক হচ্ছেন আশরাফ উদ্দিন নিজান। বিগত ১৭টি বছর ফ্যাসিস্টের জুলুম নির্যাতনসহ প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীরা জেল খেটেছেন। আশরাফ উদ্দিন নিজান জেলা আদালত থেকে শুরু করে হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, জজকোর্ট থেকে পকেটের টাকা খরচ করে নেতাকর্মীদের জামিন করিয়েছেন। জেলে থাকা অবস্থায় নেতাকর্মীদের পরিবারের খোজখবর নিয়েছেন, অর্থ দিয়ে পরিবার চালিয়েছেন। ১৭টি বছর বিএনপি-র নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মুরগীর ছানার মতো বুকে আগলে রাখা এমন পরীক্ষীত নেতার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিতে প্রস্তুত নেতাকর্মীরা।
তাছাড়া তিনি এমপি থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালে কনলনগরকে রামগতি থেকে আলাদা করে উপজেলা করেছেন। তিনি আমাদেরকে কমলনগর উপজেলা উপহার দিয়ে রামগতিবাসীর দাসত্বের জিঞ্জির থেকে আমাদেরকে মুক্ত করেছেন। সেই ঋন শোধ করার জন্য আমরা ভোট দিয়ে তাকে সংসদে পাঠাব এটাই আমাদের চুড়ান্ত কথা। তার মার্কা যা-ই হোক আমাদের কাছে তিনি নিজেই মার্কা।
উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজু বলেন, রামগতি -কমলনগর আশরাফ উদ্দিন নিজানের ঘাটি। ২০১৮ সালে জোট থেকে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে আ.স.ম. আবদুর রব এ আসন থেকে ভোট করেছেন। আমরা তার ভোট করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি একমিনিট ফোন করেও কারো খবর নেননি। এখন আবার বিএনপির ভোটে এমপি হতে এসেছেন। আমরা তা হতে দিবনা। আশরাফ উদ্দিন নিজানের কাছে রামগতি কমলনগরবাসী ঋনী, প্রয়োজন হলে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সে ঋন শোধ করবো আমরা। নিজান সাহেবকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবো ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আ্যডভোকেট আমজাদ হোসেন বলেন,আশরাফ উদ্দিন নিজান দুর্দিনে সুখে দু:খে রামগতি কমলনগরের মানুষের পাশে ছিলেন, আগামীতেও থাকবেন,আমাদেরকে নেতৃত্ব দিবেন। যিনি সুখে দু:খে ছিলেন তিনি আগামীতেও থাকবেন। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী ২৬ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়ে আশরাফ উদ্দিন নিজানকে সংসদে পাঠাব ইনশাআল্লহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোসলেউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শহীদ, চরকালকিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সুমন,উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ মাহমুদ দোলন, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ ভুইঁয়া, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদল সভাপতি মো. সেলিম, শ্রমিক দল সভাপতি আজাদ উদ্দিন, প্রজন্ম ৭১ উপজেলা সভাপতি ডা. মাকছুদুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও চরলরেন্স ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল,স্বেচ্ছাসেবকদল, তাতীদল, কৃষকদল ও জেলে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




