
শাহবাজ খান মাশফি, ঢাকা: বাংলাদেশের আদর্শ সংস্কৃতি রক্ষা ও ভিনদেশী আগ্রাসী অপসংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। ২৯ অক্টোবর রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত “সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চা ও আমাদের তরুণ সমাজ” শীর্ষক আলোচনা সভা ও গোল্ডেন অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. রাজিউন সালমা লাবনী, সঞ্চালনায় ছিলেন সবুজ রায় ও সৌখিন আজিজ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীরজাদা শহিদুল হারুন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মাকসুদেল হোসেন খান মাকসুদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা চিকিৎসক ড. চার্লস ডেভিড, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা সৈয়দ শুভ্র, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী এস.এম. আমান উল্লাহ, এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আমরা ধীরে ধীরে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। বিদেশি অপসংস্কৃতির অনুকরণে আমরা আমাদের শিকড় হারাচ্ছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার। তিনি তরুণ সমাজকে দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির চর্চায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। উদ্বোধনী বক্তৃতায় পীরজাদা শহিদুল হারুন বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি জাতির নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে, যা তাদের পরিচয়ের মূলভিত্তি। আমাদেরও নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে। প্রধান আলোচক মাকসুদেল হোসেন খান তার বক্তব্যে বলেন, অপসংস্কৃতির বিষবাষ্প সমাজের গভীরে প্রবেশ করছে। রাষ্ট্র ও সমাজ উভয় পর্যায়েই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমাদের সংস্কৃতিকে যেন কোনোভাবেই হাইজ্যাক করা না যায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন-এর আগামী দুই বছরের নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মাকসুদেল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ রায় এবং কোষাধ্যক্ষ সৌখিন আজিজ। অনুষ্ঠানের সমাপনীতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১১ গুণী ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘সমীকরণ গোল্ডেন অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড




