মঙ্গলবার, ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৩৭

কমলনগরে হাসপাতালের ডিউটি চলাকালীন অনকলে গিয়ে রোগী দেখেন প্রাইভেট ক্লিনিকে!

53Shares

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেমাতুজ যাহরার কান্ড…..

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেমাতুজ যাহরার বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতালের ডিউটি চলাকালীন সময়ে  নির্ধারিত ভিজিটে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, এ হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই সরকারি ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন তিনি। এবিষয়ে একাধিকবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দিনের পর দিন এ অনিয়ম করে যাচ্ছেন তিনি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের রোষ্টার অনুযায়ী এমবিবিএস ডা.হিসেবে ১০৪ নম্বর কক্ষে রোগী দেখবেন ডা. ফাতেমাতুজ যাহরা। কিন্ত দুপুর সোয়া দুইটা থেকে তার কক্ষটি বন্ধ রয়েছে।  এসময় বেসকয়েকজন রোগী তার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

এসময় ইমার্জেন্সি কক্ষে যোগাযোগ করে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সেকমো ডাক্তার রাশেদ উদ্দিন বলেন, স্যার নামাজ পড়তে গেছেন। তবে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক কর্মচারী জানান, ডা. ফাতেমাতুজ যাহরা প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখতে গেছেন। তার দেওয়া তথ্যমতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দুপুর  তিনটা ৪৭ মিনিটে তিনি হাসপাতাল চত্বরে গড়ে ওঠা দেশ মা মাটি মেডিকেল সেন্টারে রোগী দেখছেন।  এসময় মোবাইলে ভিডিও চালু রেখে সরকারি ডিউটি চলাকালীন সময়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে কেন রোগী দেখেন এমনটা জানতে চাইলে “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি । দম্ভ করে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আমি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখি। তবে এপ্রতিবেদক প্রাইভেট ক্লিনিকে করা তার চেম্বার ত্যাগ করার ৪৫ মিনিট পরেও ওই ক্লিনিকে তিনি রোগী দেখেন এবং বিকেল চারটা ২৮ মিনিটে ক্লিনিক ত্যাগ করে সরকারি হাসপাতালের কক্ষে প্রবেশ করেন। এসংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের  সংগ্রহে রয়েছে।

এসময় উপজেলার মতিরহাট থেকে আসা মারামারি করা রুগী ইয়াসিন বেগমের স্বজন জয়নাল আবেদীন বলেন, ইমার্জেন্সি রুমের সেকমো ডাক্তার তাদেরকে  দীর্ঘ সময় ধরে এমবিবিএস ডাক্তারের জন্য বসিয়ে রেখেছেন।  পরে বিকেল চারটা ২৮ মিনিটের সময় তিনি তার কক্ষের দরজা খুলে ভেতরে আসেন। পরে রুগীকে দেখিয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে ডাক্তার ফাতেমাতুজ যাহরা প্রাইভেট ক্লিনিকের একাধিক ব্যক্তিকে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরএমও ডাক্তার মীর আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (স্যার) ফোনে আমাকে জানিয়েছেন। আমি লক্ষ্মীপুরে একটি সরকারি প্রোগ্রামে ছিলাম। সন্ধ্যার পর বিষয়টি নিয়ে বসবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, এবিষয়ে ভিডিও থাকলে আমাকে পাঠান। প্রমান সাপেক্ষ ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।
বক্তব্য জানতে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জনকে (সিএস) মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

53Shares

শেয়ার করুন