
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের রামগতি উপজেলা সভাপতি ও আলোচিত ইসলামি বক্তা মাওলানা কামাল উদ্দিন তাহেরিকে হেনস্তার পর লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভোলা – আলেকজান্ডার নৌ-রুটে চলাচলকারী মেসার্স বাপ্পি এন্টারপ্রাইজ নামক একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে টিকিট বিহীন টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি একটি মাহফিলে তাফসির শেষে লঞ্চে করে ভোলার দৌলতখান ফেরিঘাট হয়ে রামগতিতে ফেরার সময় লঞ্চ মালিকের ষ্টাফরা তাকে হেনস্তা করে লঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। নেমে না গেলে তাকে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ফোনে যোগাযোগ প্রতিদিনকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন।
হেনস্তার বিষয়টি জানাজানি হলে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) পীরের কয়েকশ’ অনুশারী আলেকজান্ডার ফেরিঘাট এলাকায় এসে জড়ো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লঞ্চ মালিকের লোকজন ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন তাহেরি যোগাযোগ প্রতিদিনকে জানান, ভোলার একটি মাহফিলে যোগদান করতে বুধবার বাপ্পি এন্টারপ্রাইজ নামক লঞ্চে উঠেন তিনি। ওই সময় লঞ্চের লোকজন তার থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া আদায় করেন। মাহফিল শেষ করে রামগতি ফেরার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতখান ঘাটে এসে একই লঞ্চে উঠেন তিনি। এসময় লঞ্চের লোকজন তার থেকে ৩০০শ’ টাকা ভাড়া দাবি করেন। আগেরদিন একই লঞ্চে ২৫০ টাকা, একদিন পর ৩০০শ’ টাকা কেন নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তারা তার (কামাল উদ্দিন) উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা অশালীন আচরণ করেন। পরে ৩০০ টাকা আদায়ের বিপরীতে টিকিট চাওয়া হলে তাকে লঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। না নামলে নদীতে ফেলে দিবেন বলে হুমকি দেন লঞ্চের স্টাফরা।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোনে হেনস্তার বিষয়টি
দলীয় নেতাকর্মীদের জানান তিনি। পরে লঞ্চটি আলেকজান্ডার ফেরিঘাটে এসে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হন। এসময় লঞ্চের স্টাফরা পালিয়ে যান। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
মেসার্স বাপ্পি এন্টারপ্রাইজ লঞ্চের মালিক মো. আতাহার হোসেন হেনস্তার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, লঞ্চের স্টাফদের আচরণে তিনি খুবই লজ্জিত। কামাল উদ্দিন তাহেরির কাছে মোবাইলে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। ভাড়া আদায়ের বিপরীতে টিকিট দেওয়া হচ্ছেনা কেন এমন প্রশ্নে কৌশলে নামাজ শেষে পরে ফোন করবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কবির হোসেন বলেন, দুপক্ষের লোকজনকে নিয়ে বসে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
এম/এস/কা