শুক্রবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রাত ১১:১০

রামগতিতে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

0Shares

রামগতি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জকে জড়িয়ে মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে টাকার বিনিময়ে জেলেদেরকে মাছ শিকারের অনুমতি দেয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচরে এসেছে।


প্রকাশিত সংবাদের একাংশে উল্লেখ করা হয় যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেনকে ব্যবহার করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম নৌকা প্রতি ১৫ হাজার টাকা হারে আদায় করে জেলেদের ইলিশ শিকারে সুযোগ করে দিয়েছেন। কার্যত বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ডায়া মিথ্যা। মুলত ইসমাইল হোসেন একজন শ্রমিক। সংবাদকে আলোচিত করতেই যুবলীগের ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। নৌ-পুলিশ নদীতে অভিযান পরিচালনা করার সময়ে শ্রমিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন ইসমাইল ।

অন্যদিকে সরকার ঘোষিত ২২দিনের অভয়াশ্রম সুন্দর ও সফল করতে নিয়মিতভাবে অত্যান্ত নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে আসছে নৌ-পুলিশ সদস্যরা। এছাড়া নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং প্রয়োজনে উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধভাবে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের আটক করে অন্তত ১২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য জাল পুড়িয়ে ধ্বংস এবং মাছধরার বেসকয়েকটি নৌকা আটক করা হয়।

অথচ একটি পক্ষ অনৈতিক সুযোগ সুবিধা না পেয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছেন। আর সংবাদকর্মীরা অতি উৎসাহী হয়ে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই এমন ভুলভাল সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। এতে নৌ-পুলিশ- মৎস্য বিভাগের পুরো সফলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া সংবাদে উল্লেখিত সালাউদ্দিন ও দিদার মাঝির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ধরনের বক্তব্য দেননি বলে জানিয়েছেন।

সুতরাং প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ একপেশে ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট ও মিথ্যা।  একটি কুচক্রী মহল অনৈতিকভাবে সুবিধা হাসিলে ব্যর্থ হয়ে এমন ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে এধরণের অপপ্রচার করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হলো । কাজেই প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদটি ভিত্তিহীন দাবি করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মো. সফিকুল ইসলাম
ইনচার্জ,  রামগতি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।  রামগতি, লক্ষ্মীপুর।

0Shares

শেয়ার করুন