মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রাত ৩:১০

কমলনগরে বৃদ্ধার লালসার শিকার ৫ বছরের শিশু,  এলাকাজুড়ে তোলপাড়

24Shares

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী বশির সর্দার নামের এক বৃদ্ধার যৌন লালসার শিকার হয়েছে ৫ বছরের এক শিশু।

শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ও লেভেলের শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা থেকে সামান্য অদুরে বখাটের দোকানে চিপস কিনতে গিয়ে এ লালসার শিকার হয় সে। ঘটনার পর  অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত (১১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে স্থানীয়  চরবসু বাজারে বখাটের চা-দোকানের পিছনে এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত বশির ওই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। পেশায় একজন চা দোকানদার।
তবে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় সোমবার (আজ) ঘটনাটি গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত (১১ অক্টোবর) শনিবার প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় পড়তে যায় শিশুটি। দুপুর সাড়ে এগারোটার দিকে মাদ্রাসা সংলগ্ন বখাটে বশিরের চা-দোকানে চিপস কিনতে যায় সে। এসময় একা থাকার সুযোগে শিশুটিকে পুসলিয়ে দোকানের পিছনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় বশির। পরে চকিতে সুইয়ে পড়নের স্যালোয়ার খুলে শিশুটির সাথে নোংরামো করে । পরে শিশুটির হাতে একটি চিপসের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে কাউকে না বলতে ভয়ভীতি দেখায় বশির।

শিশুটির মা বলেন, শিশুটি বাড়িতে আসার পর তার হাটা-চলার সময় অসংলগ্নতা লক্ষ করেন তিনি।  পরে একটা সময় দেখতে পান মেয়েটির যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। স্বামী প্রবাসে থাকায় তাৎক্ষণিক   আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান তিনি। তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করার আগেই পরিবারের সদস্যরা সহ এলাকা থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বশির। একটা পক্ষ বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দেন তাকে। যে কারণে থানাপুলিশকে জানাননি।  অবশেষে সমাধান না পেয়ে  ন্যায় বিচারের জন্য মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

ভুক্তভোগী শিশুটি যুগান্তরকে বলেন, মাদ্রাসা বিরতি দিলে চিপস কিনতে বশিরের দোকানে যায় সে। এসময় বশির তাকে দোকানের পিছনে নিয়ে একটি চকিতে সুইয়ে পড়নের স্যালোয়ার খুলে পেলে। গোপনাঙ্গে মুখের লালা দিয়ে তার সাথে… করে। ( ধারন করা শিশুটির বক্তব্য উপস্থাপন যোগ্য নয়)।
সরেজমিন গেলে শিশুটির ফুফা জামাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, বর্তমান ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন সহ উপস্থিত অন্তত দেড়ডজন স্থানীয় লোকজন জানান, অভিযুক্ত বশির এরআগেও এলাকায় একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সে একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। শিশুটির সাথে নোংরামোর ঘটনায় পুরো এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করেছেন। তবে এরআগেই সে পালিয়ে যায়। তারা লম্পট বশিরের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।

অভিযুক্ত বশির পরিবার সহ পলাতক ও পরিবারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তহিদুল ইসলাম জানান,  ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।  ভুক্তভোগী পরিবার এখনো থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

24Shares

শেয়ার করুন