
শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার সাত মাস অতিবাহিত হলেও প্রধান আসামি ও স্থানীয় ছাত্রদল নেতা বায়েজিদ ঢালীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বরং হাইকোর্ট থেকে জামিনে বের হয়ে এসে বাদিকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র ও মামলার নথি থেকে জানা যায়, উপজেলার উত্তর হাটুরিয়া গ্রামের মকবুল ঢালীর ছেলে বায়েজিদ ঢালী (ছাত্রদল নেতা) দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি নাগেরপাড়া গ্রামের এক অসহায় পরিবারের কিশোরীর সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। প্রথমে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে টানা তিন মাস ভিকটিমকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল বায়েজিদ। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে এক পর্যায়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। এরপরও বিয়ে না করে উল্টো ওই কিশোরীর নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে কুরুচিপূর্ণ ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেয় বায়েজিদ ঢালী। পরে ভিকটিম শরীয়তপুর লিগ্যাল এইডের সহায়তায় গত ২৬ মার্চ শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলা করেন। আদালত আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেও সাত মাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফিরুজ আসামির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ভিকটিমকে মামলা মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকি বাদি যদি প্রস্তাব না মানেন তবে তাকে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। এতে ভয়ে ভিকটিম ঢাকা চলে যেতে বাধ্য হন। অথচ আসামি বায়েজিদ ঢালী ঢাকার বাড্ডা এলাকায় অবস্থান করলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। এ ঘটনায় স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা মনে করেন, রাজনৈতিক পরিচয় আর টাকার জোরে আসামিকে বাঁচিয়ে রাখছে প্রভাবশালী মহল। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে, তারা এখনো প্রাণনাশের হুমকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। উল্লেখ্য এদের পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে। আসামি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাদী অনবরত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।