নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : গত বছর ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতাসীন থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভারতে চলে যান। এর পরপরই নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত এমপি শামীম উসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও রাজনীতিবিদ মেহেদী হাসান রকি প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক হয়রানি ও গ্রেফতার এড়াতে দেশ ছেড়েছেন।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কলাবাগ এলাকার মো: রফিকুল ইসলাম ও রোকেয়া বেগমের পুত্র মেহেদী হাসান রকি পতিত সরকারের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার কয়েজন সহকর্মীও দেশ ছেড়েছেন।
এদিকে মেহেদী হাসান রকির নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের বাড়ি এখন ধ্বংসস্তুপ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর শামীম ওসমানের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন দুর্বৃত্তরা। তিনি আগেভাগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
সরেজমিনে শামীম ওসমানের বাড়িতে দেখা যায়, আলিশান জাঁকজমকপূর্ণ বাড়িটি যেন একটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি বাথরুমের হাইকমোড থেকে শুরু করে বিদ্যুতের তার পর্যন্ত নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বাড়ির আসবাবপত্র বলতে কিছুই নেই। আশপাশ এলাকার মানুষজন এসে ভিড় করছেন ধ্বংস্তুপ দেখার জন্য।
জানা গেছে, গতবছরের ৫ আগস্ট কোনো এক ফ্লাইটে শামীম ওসমানের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ব্যাংককে পাড়ি জমান। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করে তারা দুবাই চলে যেতে পারেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম থাকায় সেখানেও যেতে পারেন।
পতিত সরকারের একজন সক্রিয় কর্মী সুচতুর মেহেদী হাসান রকি সুযোগ বুঝে দেশ ছাড়ায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।