
কমলনগরে প্রিন্ট -ইলেকট্রনিক ও বেসকয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমে “চাঁদা না পেয়ে মোঘনার চরে ঘর ভাংচুর লুটপাট’ এবং “মফিজ মাতাব্বর, বেলাল মাতাব্বর ও কামাল মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ”শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ একপেশে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। কাজেই বানোয়াট এ সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
মুলতঃ সংবাদে তুলে ধরা বিষয়বস্তুর সাথে আমরা কেউই জড়িত নই। ব্যক্তিগত শত্রুতা ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে একটি মহল মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করে আসছে। তাছাড়া সংবাদ পত্রিকায় তুলে ধরা প্রতিবেদনে ভেঙ্গে যাওয়া চর ২০ বছর হয় জেগে উঠেছে কথাটি একেবারেই বানোয়াট ও অসত্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃত সত্য হলো
মেঘনার বুকে জেগে ওঠা চরটির বয়স মাত্র ১০ বছর । আমাদের মালিকানা জমির কাগজপত্র অনুযায়ী দক্ষিন চর কালকিনি,চর কটোরিয়া ও চর মাতাব্বরে বর্তমানে প্রায় ৬০০ একর জমিতে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছে চাষিরা ।
এদিকে, জেগে ওঠা চরটিতে চরকাকড়া মৌজার জমি এখনো জেগে না উঠলেও জনৈক মাসুম তার সহোচর জাকির হোসেন মুক্তার, তার ভাই আক্তার হোসেন গংরা একটি সিন্ডিকেট চক্র তৈরি করে চাষাবাদ করার নামে চরের জমি দখল ও চরের ঘাস বিক্রির মহাোৎসব
চালিয়ে আসছে। মুলত মাসুৃম, মোক্তার ও আক্তার গংদের তিল পরিমান জমিও এখন পর্যন্ত জেগে ওঠেনি। তারা অদৃশ্য এক ব্যক্তির ক্ষমতার দাপটে নিজের ক্ষমতাবান দেখিয়ে জনৈক মহিসের মালিক থেকে ইতোপূর্বে ১২ লাখ টাকার চরের ঘাস বিক্রি করেছে। এমনকি জেগে ওঠা চর কালকিনি, চর মাতুব্বরের প্রায় ৬০০ একর জমিতে
৪৭৪ জন প্রকৃত মালিক দীর্ঘ কয়েকবছর
ধরে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ করে আসছেন। এছাড়া সরকারের কোষাগারে রাজস্ব হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৫০০ একর জমির খাজনা পরিশোধ করেছেন জমির মালিকরাব । অন্যদিকে প্রতিজন মালিকের কাছে আলাদা আলাদা ভাবে জমির খতিয়ান রয়েছে বলেও জানান কৃষকরা। সম্প্রতি চলতি মৌসুমে আবাদ করা ধান এযাবত পর্যন্ত তিনবার ওই ধান মহিসের পাল দিয়ে খাইয়ে বিনষ্ট করেছে আক্তার মুক্তার মাসুম গংরা।
চরের জমির প্রকৃতপক্ষে মালিক এবং চাষা এমন অন্তত ১৫জন কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে চরে চাষাবাদ করতে জমি চাষের ট্রাক্টর দিয়ে জমি মারাই করার জন্য মুক্তারের সাথে চাষিদের কন্টাক্ট হয়। এ বিষয়ে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা বুঝে নেন মুক্তার। এসংক্রান্ত মুক্তারের স্বাক্ষরিত একটি স্টাম্পও রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি জানান, বেআইনিভাবে চরের জমি দখল, ঘাস বিক্রি এমনকি জবরদখল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই মাসুম ও আক্তারগংরা সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা সলবাদটি করিয়েছেন।
শুধু তাই নয় নিজেদের ঘর নিজেরা ভাংচুর করে এমনকি মরা মহিসকে নেজরা কুপিয়ে রক্তাক্ত করে আদালতে মামলা পর্যন্ত দিয়েছে মাসুম গংরা। এখনো কয়েকটি মিথা মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
কাজেই সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম ও পত্রিকায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের,যাচাই-বাছাই ছাড়া বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি । একই সঙ্গে আমরা প্রকাশিত উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।