
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জাল দলিল সৃজন করে রেজাউল হক নামের এক বৃদ্ধার জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।
প্রতিকার চেয়ে শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রামগতি উপজেলা সাংবাদিক ইউনিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বৃদ্ধা রেজাউল হক বলেন, প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম খলিল প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে তার বাবা মৃত মজিবুল হকের চর হাসান হোসেন মৌজার এস এ ৩৬৪, ৪৩৯, ৬৪১, ২৪৭ নং খতিয়ানের ১ একর ৪১ শতাংশ জমি অবৈধ ভাবে জাল দলিল সৃজন করে তার মৌরশদের আর এস খতিয়ানের ১০৪৬ দাগে .৮১ শতক, ৮৩৮ দাগে .২৪ শতক, ৮৩২ দাগে .২০ শতক,৮২২ দাগে.১৬ জমি রেকর্ড করে রাখেন। মজিবল হক উক্ত দাগ-খতিয়ানে তাদের কাউকে কোন কবলা বা দলিল দেননি। ইব্রাহিম খলিল রামগতি পৌরসভার চরহাসান হোসেন গ্রামের মৃত আবদুল খালেক দিশারীর একমাত্র ছেলে। সে হাইকোর্টের আইনজীবী।
এর আগে ইব্রাহিম খলিলের বাবা আবদুল খলেক দিশারী বাদী হয়ে ২০১৭ সালে নোয়াখালী সেটেলম্যান্ট অফিসে বৃদ্ধ রেজাউল হকের বিরুদ্ধে রেকর্ড সংশোধনের অভিযোগ দেন। এবং হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ৮২১৪/২০১৭ নং রীটপিটিশনের আদেশের আলোকে মিসকেস নং ৭০/২২ মামলা রুজু করা হয়। উক্ত মামলাটি একাধিক বার শুনানী শেষে গত ৩১-০৫-২০২২ইং তারিখের শুনানীত বাদীর অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে রেজাউল হকের পক্ষে রায় দেন আদালত।
ইব্রাহিম খলিল আ’লীগ দলীয় দাপট দেখিয়ে বিধিমোতাবেক আপিল না করে তৎকালিন ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মরত অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাসকে দিয়ে বিচারক ড.সাইফুল আলমের উপর চাপ সৃষ্টি করে অবৈধ ভাবে পুনরায় মিসকেস নং ৩১৫/২২ মামলা রুজু করেন। ওই মামলার শুনানির দিন রেজাউলকে জিম্মি করে অবৈধ ভাবে তার মাঠ রেকর্ড ও নকশা কর্তন করে .১৬ শতক জমি তাদের আর এস ৮২২ দাগে অর্ন্তভূক্ত করে নেন।
ওই অবৈধ রেকর্ড ও নকশা কর্তনের বিরুদ্ধে রেজাউল হক বাদী হয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে এল.এস.টি নং ১৩১১/২৩ মামলা এবং ভূয়া দলিল বাতিলের জন্য দেওয়ানী মামলা নং০৬/২০২৩ইং দায়ের করেন। ইব্রাহিম খলিল মজিবল হক থেকে ১.৪১ শতক জমি কি ভাবে মালিক তার স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র উল্লেখ না করে, হাইকোর্ট ডিভিশন রীটপিটিশনের আদেশ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন চিঠির বরাত দিয়ে এল.এস.টি নং ১৩১১/২৩ মামলাটি খারিজের প্রর্থনা করেন। অন্যদিকে উক্ত মামলার অর্ন্তভুক্ত জমি নামজারি জমা-খারিজ করে অন্যত্র হস্তানন্তর করার চেষ্টাসহ দৃদ্ধা রেজাউল হককে নানা ভাবে হয়রানী করছেন। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিল তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রেজাউল হক জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তাদেরকে হয়রানির করছেন। তার জালিয়াতির সহায়তাকারী নোয়াখালী সেটেলম্যান্ট অফিসের দুইজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। তার জমি হলে সে আদালতের প্রমাণ করে নিবে এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।