আলম খান : ৮ জুলাই, রাজধানীতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হলো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাজ্ঞ রাজনীতিক, বিএনপির সাবেক সফল মহাসচিব ও মহান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া-কে। তাঁর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজনীতি, আদর্শ ও সংগঠনের মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল অধ্যায় যেন ফিরে এলো। আয়োজক ছিলো – আ: মান্নান ভুঁইয়া পরিষদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সদস্য সচিব আলহাজ্ব আরিফ উল ইসলাম মৃধা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ আলী। বক্তব্য দেন— অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রাব্বানী, আ: হাই গাজীসহ আরও অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। সভায় বক্তারা আবেগপূর্ণ ভাষায় বলেন, "আ: মান্নান ভুঁইয়া ছিলেন শুধু একজন সংগঠকই নয়, বরং গণতন্ত্রের এক প্রতীক, যিনি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন।" প্রধান অতিথি আরিফ উল ইসলাম মৃধা তাঁর বক্তব্যে বলেন: “বিএনপির ইতিহাসে আ: মান্নান ভুঁইয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি ছিলেন দূরদর্শী, দৃঢ়চেতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। অথচ জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁকে বহিষ্কার করে যেভাবে দুঃখজনক অন্যায় করা হয়েছিল, সেটি এখনই বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত মহলের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে—তাঁর বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হোক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যারা আ: মান্নান ভুঁইয়ার আদর্শে বিশ্বাস করি, তারা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে এই দাবি জানাই—
তাঁর সম্মান ফিরিয়ে দিন, ইতিহাসকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করুন।” আলোচনা সভাটি একদিকে যেমন ছিলো গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি, অন্যদিকে ছিলো রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা— আদর্শিক নেতৃত্ব কখনো হারিয়ে যায় না, ইতিহাস একদিন সকল সত্যের জবাব দিয়ে দেয়।