এনামূল হক নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে কাজিপুর থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ মহুকুমা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ছিলেন মরহুম আফজাল হোসেন সরকার। বাবা কাজিপুর উপজেলা বিএনপির দায়িত্ব নিয়ে কাজিপুর থানার জনগণের মাঝে শহীদ জিয়ার আদর্শ তথ্য বিএনপির ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু করেন। তখন থেকেই মাঝে মাঝে স্কুল বন্ধুদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিশন ভিমন জানা চেষ্টা করেন। এভাবেই আস্তে আস্তে বিএনপিকে ভালোবেসে ফেলেন এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৭৮ সালেই ছাত্রদলের মাধ্যমে বিএনপিতে যোগদান করে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন। উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করতে ১৯৮২ সালে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন। কলেজে ভর্তিই হয়ে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য হিসেবে ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবন শেষ করে ১৯৯২ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০২ সাল থেকে কখনো কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি, কখনো আহবায়ক, কখনো সভাপতি, কখনো সদস্য সচিব ও অদ্যবধি পর্যন্ত কাজিপুর উপজেলা বিএনিপর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কাজিপুর থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ মহুকুমা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ছিলেন মরহুম আফজাল হোসেন সরকার এর জৈষ্ঠ্য পুত্র মো: সেলিম রেজা। জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন শহীদ মুনসুর আলীর বাড়ি কাজিপুর উপজেলায়। এই উপজেলায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন শহীদ মুনসুর আলীর বাড়ি হওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জের পরেই আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিতি কাজিপুর উপজেলা। কেননা সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি ১৯৮৬ সালে শুধু জাতীয় পার্টি জয়লাভ করে। পরবর্তীতে সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ব্যতিত কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন হলে কাজিপুর উপজেলা থেকেই স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ নাসিম। এমন একটি আওয়ামীলীগের দূর্গখ্যাত জায়গা থেকে ১৯৭৮ সালে পিতা, ২০০২ সাল থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত কাজিপুর উপজেলা বিএনপির দায়িত্ব পালন করে আসছেন সেলিম রেজা। কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ব্যতিত কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করা অর্থ হল ‘ বাঘের মুখের সামনে হরিণের বিচরণ’। যখন তখন হরিণকে শিকার করতে পারে বাঘ। যখন-তখন হরিণকে বাঘ শিকার করতে পারত, ঠিক তেমনি সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও তার পুত্র সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল হরিণের মত শিকার করতো সেলিম রেজাকে। কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজাকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন, অত্যাচার, হামলা-মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। কাজিপুর বিগতদিনে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের চোখের ইশারাতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের নানা রকম ভয়ভীতি, হুমকি ধামকি, বাড়িঘরে আগুন, কারাগারে প্রেরণ করতে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ নাসিম ও তার ছেলে সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল জয়। ২০০১ সালে আওয়ামীলীগের সাথে সংঘর্ষে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহতের মামলায় মোহাম্মদ নাসিম রাজনৈতিক আক্রোশে সেলিম রেজা এর বংশের ১৫জন সদস্যকে ২০১০ সালে ৫জনকে ফাঁসি ও ১০জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। ফাঁসির আসামী এখনো কাশিমপুর কারাগারে আছে, অন্য দুই আসামী পলাতক ফেরারী আছে। ছাত্রলীগ হত্যা মামলা এখনো চলমান আছে আসামীদের পরিবারগুলো মানবেতন জীবন যাপন করছে। ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে সেলিম রেজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার পৈতৃক বাড়িতে নারকীয় হামলা চালায়। সেলিম রেজাকে না পেয়ে বৃদ্ধা মাকে ধাক্কা মেরে দিলে পা ভেঙ্গে যায়। সেলিম রেজার ভাগ্নি জামাইকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মারাত্মকভাবে আহত হন। এসময় সেলিম রেজার ভাগ্নি আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীকে প্রতিহিত করতে গেলে তার পায়ের কোপ লাগে। ঘরবাড়ি আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়ে যায়। ২০২২ সালে তার পরিবারের সকল সদস্য কোরবানির ঈদের বাড়িতে এলে ঈদের আগে রাত্রে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যবহৃত গাড়ি এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে। এতেও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত না হয়ে সেলিম রেজার ছোট ভাই সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মহসীন রেজাকে তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আফজাল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপালের পদ থেকে সাসপেন্ড করে বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়। সেলিম রেজার আরেক ভাই খসরু পারভেজকে কলেজের প্রভাষক পদ থেকে চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয়। অপরদিকে সেলিম রেজা নামের ২০১১ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রায় ৮টি মামলা রয়েছে। ৮টি মামলায় বিভিন্ন সময়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পেতাত্মারা। তবুও বীরদর্পে কারাগারে থাকাকালীন সময় বাদ দিয়ে সর্বসময়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল কর্মসূচিতে কাজিপুর থেকে বীরদর্পে অংশগ্রহণ করেছেন। কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, আমি কলেজ জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে দলের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। আমি জিয়ার আদর্শের একজন নির্বিক সৈনিক। শহীদ জিয়ার ১৯ দফা ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা হৃদয়ে ধারণ এবং তা বাস্তবায়ন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে দেশের ধারাবাহিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের ভিত্তিতে গ্রামগঞ্জে জনগণকে একত্রিত ও সুসংগঠিত করা এবং সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা সম্পর্ন দক্ষ জনগোষ্ঠী তোলা আমার মুল লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিএনপির মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি দেশের আপামর জনসাধারণের মাঝে প্রচারণা মাধ্যমে দলের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনমত তৈরি এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভীত করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।