
টঙ্গী সংবাদদাতা: টঙ্গীতে রূপালী কান্ডে দিশেহারা মানুষ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করলে নারী লোভী নেশাগ্রস্ত মাদক ব্যবসায়ী রাকিব সাংবাদিকদের মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন গুরুতরো অভিযোগ পাওয়া গেছে।রাকিবের নামে টঙ্গী পূর্ব থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে একাধিক মামলা তারপরেও কার শেলটারে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জনমনে এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পরকীয়া ও স্বামী পাল্টানো যার নেশা তার নাম রূপালী। বাড়ি খুলনা প্রথম বিয়ে এক ভ্যান চালকের সাথে। বছর খানেকের মধ্যে স্বামী জানতে পারেন তাহার স্ত্রী পরকীয়া আসক্ত।অবশেষে তালাক দেন তাকে। সেখানে তার রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। কিছুদিন যেতে না যেতেই ঢাকা উত্তরার লন্ডন প্লাজায় গার্মেন্টসে চাকরি নেন। কিন্তু থেমে থাকেনি তার পরকীয়া। সেখানেও একজনকে বিয়ে করেন। সেই লোকের টাকা পয়সা নি:শেষ করে কিছুদিন যেতে না যেতেই সেখানেও তালাকের ঘটনা ঘটান।
পরবর্তীতে আব্দুল্লাহপুর ফলের মার্কেট সিকিউরিটি’র চাকরি নেন। সেখানে পরিচয় হয় এক আদম ব্যবসায়ীর সাথে। আদম ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে আবার ধুমধাম করে কিছুদিন সংসার করেন। কিন্তু চরিত্র খারাপ বলে কথা, সেই স্বামীও একসময় চলে যায়। পরবর্তী ওই স্বামীরই বন্ধু আদম ব্যবসায়ী ফেনী জেলার একবৃদ্ধকে বিয়ে করে টঙ্গীর আরিচ পুরে বসবাস শুরু করেন। এখানেও তার প্রতারণা আর বাটপারি থেমে থাকেনি। বিদেশ পাঠানোর নামে প্রলোভনের ফাঁদ পেতে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন। অত:পর এলাকার মানুষ চাপ দিলে বেগতিগ দেখে তার বৃদ্ধ স্বামী পালিয়ে যায়। এই বৃদ্ধ স্বামীরও রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। সীমাহীন পাপাচারে দিশেহারা রূপালী কি রেখে কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলনা।
কথায় বলে চোরা নাহি শোনে ধর্মের কাহিনী। এবার আরিচপুরের জাহাঙ্গীর নামক এক ব্যক্তিকে স্বামী বানিয়ে সমিতির ৮০ হাজার টাকা কিস্তি আ্ত্মসাৎ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু জাহাঙ্গীর নয় এভাবে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানিতে ফেলে বিভিন্ন পরিচয়ে।
সমিতির লোকজন জানান রূপালী আমাদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করছে না। তাহার স্বামী পরিচয়দানকারী সমিতিতে জবানবন্দীতে বলেছেন সে আমার বউ নয়। আর টাকা আমি নেইনি। রুপালির কাছে টাকা চাইতে গেলে সমিতির লোকদেরকে জোর গলায় বলেন. আমি সাংবাদিক তোদের নামে নারী নির্যাতনের মামলা করব। এমনতরো হুমকী ধামকি দিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।
পরবর্তী রূপালীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে পরিচয় হয় ড্রাইভার মাদকাসক্ত রাকিব নামের এক লোকের সাথে। সেখান থেকে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকা সহ সময় কাটানো শুরু হয় কিছুদিন যেতে না যেতেই তাকেও বিয়ে করেন রূপালী। নিয়ে আসেন টঙ্গীতে লেখাপড়ার বালাই না থাকলেও তাকে নাকি বানিয়ে দিলেন কোন এক পত্রিকার সাংবাদিক। সংসার শুরু করলেন রুপালি রাকিব দম্পতি। অন্যদিকে রাকিবের আগের স্ত্রী মোরশেদা ভরণপোষণ না পেয়ে দু’তিন সন্তান নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন।
পরবর্তী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাহার স্বামী টঙ্গীতে রূপালী নামক এক মেয়েকে নিয়ে সংসার করছে। রূপালী ফেনী;র সেই বৃদ্ধ স্বামীকে তালাক না দিয়েই রাকিবকে নিয়ে সংসার করছেন।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে রূপালী একসাথে কি দুই স্বামীর সংসার করছেন। রাকিবের প্রথম স্ত্রী মোরশেদা টঙ্গীতে এসে তার স্বামী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান এবং টঙ্গী পূর্ব থানায় রূপালী ও রাকিব কে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনা জানতে পেরে রূপালী ও তাহার স্বামী রাকিব প্রথম স্ত্রী মুরশিদাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। মুর্শিদা বাঁচার জন্য সাথে সাথে ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। হট্টগোল চলাকালে টঙ্গীর সাংবাদিকদের সহযোগিতায় কোনরকম রুপালীর হাত থেকে রক্ষা পান মুর্শিদা মুরশিদা। তিনি জানান, আমার বাবার বাড়ি থেকে অনেক টাকা পয়সা এনে দিয়েছি তাকে কিন্তু সে ভালো হয়নি। আমাকে ভরণ পোষণ দেয়নি। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ দেয়নি। বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে নিয়ে আনন্দ করে বেড়ায়। কোন এক জায়গায় ধরা খাওয়ার পর মানুষের মেরে তার দুইটি দাঁত ভেঙে দেয়। তাতেও সে ভালো হয়নি। আবার এসে রূপালীকে নিয়ে সংসার করছে।
জানতে চাইলে মাদকাসক্ত ট্রাক ড্রাইভার রাকিব বলেন হ্যাঁ আমি এখন সাংবাদিক হয়ে গেছি। আমার সাথে এসব কথা বললে আমি আপনাদের নামে থানায় মামলা করব। এভাবে টঙ্গীর কিছু সাংবাদিকদের হুমকি দেন।
সে সাংবাদিক কার্ড নিয়ে কি করেন জানতে চাইলে রাকিব বলেন, আমি ট্রাক চালাই অনেক সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ি সিগন্যাল দেয় সেখানে আমি বলি আমি সাংবাদিক, আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স আর কোন ঝামেলা হয় না, কিন্তু টঙ্গীর বিভিন্ন রাজনৈতিকপ্রোগ্রামে গলায় ফ্রিতে ও কাঠ ঝুলিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। যেখানে রাকিব রূপালী নিজের নামই লিখতে পারেননা সেখানে কিভাবে হলেন সংবাদকর্মী জনমনে প্রশ্ন থেকেই যায় সাংবাদিক হতে গেলে কি তার নূন্যতম কোন শিক্ষা যোগ্যতা লাগেনা না ? রূপ যৌবনেয় যথেষ্ট মিরপুর এক বাড়িতে অবৈধ গ্যাস বলে রূপালী রাকিব সহ চার-পাঁচজন চাঁদা দাবি করে মিরপুর থানায় রয়েছে তাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংখ্যায়