
আসাদূজ্জামান বাদল : নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলাধীন পিআইও অফিসে সরকারি প্রকল্প কাবিখা/টিআর এর ১৯১ টি বিলের মধ্যে ৮১ টি বিলের প্রেক্ষিতে আনুমানিক ৫২,৭৮,০০০/- (বায়ান্ন লক্ষ আটাত্তুর হাজার টাকা) জালিয়াতি করে উত্তোলন করা হয় বলে শিবপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জানা যায়। উল্লেখ্য, শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ১৫/০৬/২০২৫ টিআর/ কাবিখা প্রকল্পে ১৯১টি বিল হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দিলে বাজেট না থাকায় ৮১ টি বিল ২৬/০৬/২০২৫ তারিখে বিলগুলো ভাউচার হয়।বিষয়টি এনএসআই কর্তৃক অবগত হলে অত্র কার্যালয় পক্ষ থেকে ২৮-৩০/০৬/২০২৫ তারিখ বিষয়টি গোপন অনুসন্ধান করা হয়। উক্ত গোপন অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে পিআইও অফিসের ২ জন কর্মচারী ক) তুহিন, পদবি- কার্য সহকারী (প্রজেক্ট), খ) আশিক, পদবি- পিয়ন (আউটসোর্সিং), এর জালিয়াতিপূর্বক সরকারি টাকা উত্তোলনের প্রমান পাওয়া যায়। এনএসআই এর গোপন অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত প্রমানাদি (ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ), উক্ত অফিসের কর্মচারী আশিক, পদবি- পিয়ন (আউটসোর্সিং) এর স্বীকারোক্তি ইত্যাদি সহ বিভিন্ন তথ্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এবং নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে এনএসআই প্রদত্ত প্রমানাদি ও বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ পূর্বক পিআইও অফিসের অভিযুক্ত উক্ত ০২ জনকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি টাকা জালিয়াতি পূর্বক আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত দিবাগত রাত ১২:৩০ মিনিটে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে। আজ বিকাল ২ টায় পুলিশ আটককৃত পিআইও অফিসের ০২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটককৃতরা কাবিখা/টিআর প্রকল্পের আত্মসাৎকৃত ৫২,৭৮,০০০/- টাকার মধ্যে ৫২,০০,০০০/- টাকা পুলিশের নিকট জমা দেয় বলে জানা যায়। আত্মসাতের বিষয়ে শিবপুর সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যাবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান,পি আই ও অফিসের অফিস সহকারি তুহিন ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান,কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে টাকা নেয়নি বলে জানায় তুহিন,সে বলে ব্যাংকে ব্যালেন্স নেই । পরে ইউএনও তুহিনকে পুন:রায় টাকার জন্য ব্যাংকে পাঠাইলে সে বলে ব্যাংক কর্মকর্তা টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে দোষারোপ করেন । পরে ইউএনও স্যারও আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করতে করতে থাকেন । প্রকৃতপক্ষে পুরো ঘটনাটা বেরিয়ে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার তদারকিতে । বর্তমানে আটককৃতরা শিবপুর মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।