
লক্ষ্মীপুরে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার ঘটনায় স্থানীয়দের সালিশের রায় পক্ষে না হওয়ায় উল্টো তিন সালিশদারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় সমাজে ঘটে যাওয়া যে কোনো বিষয়ে স্থানীয় নিষ্পত্তি ও সুস্থ সমাধান নিয়ে কঠিন উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় পুরো এলাকাজুড়ে। স্থানীয়রা ওই নারীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গত ১৫ মে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড চকবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, অভিযুক্ত ওই নারী নদীভাঙার শিকার হয়ে বিগত আট বছর আগে চকবাজার এলাকার এক যুবদল নেতার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। ওই বাড়িতে ৫ বছর অবস্থান করার পর স্বামীর অজান্তে স্থানীয় এক যুবকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন ওই নারী। এলাকায় জানাজানি হলে একপর্যায়ে যুবদল নেতা তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন ওই নারীকে। পরে একই এলাকায় সামান্য জমি কিনে বসতি গড়েন। স্বামী ইটভাটার শ্রমিকের কাজ করার সুযোগে ফাঁকা ঘরে বিভিন্ন পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়ে ওই নারী। নির্জন একটি জায়গায় একা ঘর হওয়ার কারণে লোকজনের আনাগোনাও কম থাকে। যে কারণে প্রায়ই বহিরাগত পুরুষ যাওয়া আসা করেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে একদিন সকাল আনুমানিক এগারোটার দিকে ওই নারীর ঘরে অপরিচিত এক পুরুষ প্রবেশ করেন। বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে পড়ে। পরে লোকজন জড়ো হয়ে ঘর থেকে নারীকে সহ ওই যুবককে আটক করে স্থানীয় চকবাজারে নিয়ে যান।
এসময় বিএনপির স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও চকবাজার বণিক সমিতির সভাপতি এমরান হোসেন সহ উপস্থিত লোকজন সালিশ বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সালিশদারগণ অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে ওই নারীর ঘরে প্রবেশের দায়ে অভিযুক্ত ইটভাটার শ্রমিক সোহেলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ।
এসময় সালিশে যুবক সোহেলের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার দাবি করেন ওই নারী। তার কথা মতো রায়
ঘোষণা না করায় সালিশদারদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন সে। একপর্যায়ে চলতি মাসের ৬ তারিখে তিন সালিশদারকে অভিযুক্ত করে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, মামলা দায়ের করার পর নিজের বসতঘর ভাংচুর করার মিথ্যা প্রচার- প্রচারণা করতে থাকেন ওই নারী । এতে স্থানীয়দের মাঝে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যে কারণে তারা নিরপেক্ষ প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নারী নিজের স্বামীকে মারধর করে সারাবছর ইটভাটায় পেলে রেখে অগণিত পর পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকেন। এর প্রতিবাদ করায় কৌশলে সালিশদারদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন ওই নারী।
অভিযুক্ত ওই নারীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী যুবদল নেতা এমরান হোসেন মামলাটির বিষয়ে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ওই নারী এরআগেও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের সাজানো মামলা দিয়েছেন। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবারও ব্যতিক্রম হবেনা আসা করছি।