
মিজানুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।। কুড়িগ্রামে ঈদুল আযহার দশ দিন ছুটির পরও সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়নি বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। কোন কোন দপ্তরে ২ থেকে ৪ জন কর্মচারীরা উপস্থিত হলেও তারা ছিলো কোলাকুলি ও ঈদ আলোচনায় ব্যস্ত। স্যাররা অফিসে আসতেছেন একথা বললেও ১০ টা ১৫ মিনিটে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুনুর রশিদের অফিসের চেয়ার ফাঁকা ছিল। এবিষয়ে অএ দপ্তরের প্রাক্কলনিক মনিরুজ্জামান বলেন স্যারের বাসা জামালপুর ঐদিকে এসে চিলমারীতে একটি সাইডে যাবে। নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অফিসের উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না দেওয়ার সাংবাদিকরা চলে যায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরে। সেখানেও গিয়ে দেখা যায় একই চিএ নির্বাহী প্রকৌশলী বসেনি তাঁর চেয়ারে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আসলেও তারা স্যারদের সম্পর্কে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ। ১০ টা ৩০ মিনিটে যাওয়া হয় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে সেখানেও গিয়ে দেখা যায় তালা ঝুলছে। প্রকৌশল রুমে ততক্ষণে উপস্থিত হয়নি একজন এসও।দু,একজন কর্মচারীর দেখা মিললেও তাঁরা ছিলো গল্পে মাতোয়ারা। এরপর ১০ টা ৩২ মিনিটে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের গিয়ে দেখা যায়। রুমে ঝুলছে তাঁলা। এবিষয়ে অএ দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর বজলুর রুশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি যেখানে নিজে উপস্থিত আছেন দেখতে পারছেন,আমার বক্তব্য দেওয়ার কী আছে? এরপর মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর, তখন ঘড়ির কাঁটা ১০ টা ৩৮ মিনিচ সেখানেও রুমে ঝুলছে তাঁলা। শিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে প্রথমে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার দপ্তরে ১০ টা ৪২ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় রুমে ঝুলছে তাঁলা। এরপর উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে ১০ টা ৪৪ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় একই অবস্থা। উক্ত দপ্তরের কর্মচারীরা সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তখন তাঁরা ঝটপট করে উঠে বসে। কেউ বলেন স্যার ছুটিতে আছে, আবার কেউ বলেন স্যার শিশু কল্যাণ পরিবার গিয়েছে একটু পরে আসতেছে ।এবিষয়ে উক্ত দপ্তরের সমাজরসেবা অফিসার হাবিবুর রহমানকে মুঠো ফোনে কল করলে তিনি বলেন জেলা অফিসে আছি। যখন ঘড়ির কাঁটা ১১ টা ২০ মিনিট গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঢুকতেই শুনশান নিরবতা এসও, এসডির রুম দেখি তালাবদ্ধ গাড়ি রেখে সাংবাদিক যখন গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে উঠে কথা বললে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান এসও রা সম্ভবত সাইডে থাকতে পারে খোঁজনিয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে।অপরদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে গেলে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ হামিদুল হক থাকলেও অন্য কর্মচারীরা অনুপস্থিত। এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন আমি হিসাব রক্ষক ইউসুফকে একটু বাইরে পাঠিয়েছি অন্যান্যরা আসতেছেন। কুড়িগ্রাম জেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এই অনুপস্থিতি ভাবিয়ে তুলছে জেলাবাসীকে। এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলার সচেতন নাগরিকরা নানা মন্তব্য করছেন। সচেতন নাগরিক কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু বলেন এই প্রথম দীর্ঘ ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাঁরপরেও প্রথম দিনেও তাঁদের অনুপস্থিতি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে অযোগ্যতার সামিল। কুড়িগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের আহবায়ক খ.ম আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন দেশ পরিবর্তনের আওয়াজ উঠেছে কিন্তু বিগত সময়ে যাঁরা আয়েশ আমেজ করে লুটপাট করেছে তাঁরা এখনো বহাল।এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে নুতুন রাষ্ট্রের দাবিদার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রক্তের সাথে মিশে থাকা নতুন স্বাধীনতা নিয়ে আমলারা যাতে খেলতে না পারে এজন্য নিয়মিত দেখভাল করতে হবে নতুন সূর্য সন্তানদের।। এব্যাপারে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট এস.এম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী জানান সৎ,সততা ও নিষ্টার জন্যই আমাদের এই জুলাই গণ অভূথান। এসব অনিয়ম নতুন যুগে দেশ প্রেমিক ছাএ জনতা মেনে নিবে না। আমলাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে গণ অধিকার পরিষদ সব সময় সোচ্চার। এব্যাপারে এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ড.আতিক মুজাহিদদের সাথে কথা হলে তিনি জানান অসম্ভব এই অনুপস্থিতি। আওয়ামীকে আমরা তাঁড়িয়েছি আমলাদের এই অনিয়ম ও দুনীতির কারণে আমরা ফুঁসিযে ুউঠেছি, সফলতা পেয়েছি তাঁরপরেও ঐসব অনিয়ম আমরা মানতে পারি না।যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে আমাদের দল এনসিপি রাজপথে দাঁড়াবে। নতুন বাংলাদেশে এরকম কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনিয়ম পেলে আমরা দূর্বার আন্দোলন তৈরি করব। বর্তমান দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এহেন বক্তব্যের পরেও রাজনৈতিক নেতারা হাস্যরসে মেতে উঠেছে। আমলাদের কারণেও সুবিধাভোগীরা খুশি হলেও আমজনতা বেজায় অখুশি। দায়িত্বশীল এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জেলাবাসীর। এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানাকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।