সোমবার, ২রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রাত ৮:০৫

গাজীপুরের কালিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ভানুমতির খেলা : কেরানি  নুরুল ইসলাম ও ওমেদার আহমেদ সিন্ডিকেটের দাপটে গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

0Shares

সাঈদ মৃধা নিজস্ব প্রতিবেদক  ঃ গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কেরানি মোঃ নুরুল ইসলাম ও ওমেদার আহমেদ সিন্ডিকেট ঘিরে রেখেছেন কালিগঞ্জ  সাব রেজিস্ট্রি অফিস তাদের ইশারায় চলে সকল দলিল তাদেরকে সাব রেজিস্টারের টেবিলের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে  সাব রেজিস্টার কে ইসারা দিয়ে দলিল সম্পাদন করান মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাহার ভাগ সাব রেজিস্টার পেয়ে থাকেন সর্বশেষে হিসেব হয় কয়টা দলিল হয়েছে সেই অনুযায়ী বাগ বন্টন করে থাকেন যার কারণে দুর্নীতির আখরায় পরিণত হচ্ছে কালিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রিঅফিস অভিযোগ রয়েছে মহিলার কেরানির সাথের টেবিলের নকল দেওয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন  তিনি অনেককেই নাকি মাসোহারা দেন অভিযোগ রয়েছে পিয়ন এর বিরুদ্ধে  বেশি সময় ধরে এখানে রয়েছেন বয়াল তবিয়তে সেপিয়ন হলেও তাকে কেউ বুঝতে পারেনি যে সে এখানকার পিয়ন সবসময় খাস কামরার ভিতরে তাকেও অবস্থান করতে দেখা যায়ক্রেতা বিক্রেতাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এ সবকিছুর মূলহোতা কেরানী নুরুল ইসলাম সবাইকে ম্যানেজ করেই তিনি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। গোটা কালিগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে তিনিই অঘোষিত রাজা ও চাঁদাবাজ । সন্ত্রাসীদের দিয়ে কালিগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে তিনি কায়েম করেছেন অনিয়ম দূর্নীতির রাজত্ব। ১ লাখ টাকায় ১০,৫০০ থেকে ১১,৫০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং  কেরানীর নেতৃত্বে এসব চলছে ।এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে  সাব রেজিস্ট্রি অফিস এর কেরানি নুরুল ইসলাম বলেন আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলি এবং আমাদের উপরে কর্মকর্তাদেরকে আমরা ম্যানেজ করি । উপরের কর্মকর্তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে ওরা বলে , কোনো অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়না। এলাকায় জমি রেজিস্ট্রির জন্য ১ লক্ষ টাকার দলিলের জন্য সরকার নির্ধারিত টাকা নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে  সাব–রেজিস্ট্রিারার বলেন, আমি এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকার নেওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, কেউ অতিরিক্ত টাকা চাইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমি ব্যবস্থা নেব। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিধার্রিত খরচের বাইরে কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে  রেকর্ড রুমে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য চলছেই। কর্মকর্তাদের ভাগাভাগি নীতিতে বাড়ছে সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোর না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ। রেকর্ড রুমের দায়িত্বে থাকা  সাব-রেজিস্ট্রার দলিলের সইমোহর নকল তোলার রেকর্ড রুম। সেবাপ্রার্থীরা নকল তুলতে তল্লাশিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ২০ টাকার কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প দিয়ে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে রেকর্ড কিপারের কাছে প্রতি নকলে জমা দিতে হয় ১৩৫০ টাকা। জমির রেজিস্ট্রিকৃত মূল্য ও পাতা অনুযায়ী নকলপ্রতি গড়ে সরকার রাজস্ব পায় ৪০০-৫০০ টাকা। বাকি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ঘুষ হিসেবে রেকর্ড রুমে দৈনিক 100-200নকলের আবেদন জমা পড়ে। মাসে জমাকৃত আবেদনের সংখ্যা । নকলগুলো থেকে গড়ে ৮৫০ টাকা করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার বেশি ঘুষ আদায় করা হয়। স্বাক্ষর বাবদ নকলের সংখ্যা গুণে এই বিপুল টাকার বড় অংশ নেন সাব-রেজিস্ট্রার । বাকি টাকা রেকর্ড কিপারসহ অন্যদের মধ্যে পদ অনুযায়ী ভাগ-বাটোয়ারা হয়। সাব-রেজিস্ট্রার  এ বছরে যোগদান করেন। দলিল  নেতৃস্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার কে কেরানি মদদ দিচ্ছেন। বিনিময়ে তারা কিছু বাড়তি সুবিধা ভোগ করছেন। বিপরীতে কাটা পড়ছে জেলাবাসীর পকেট।তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,  কীভাবে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন? যদি চিহ্নিত ব্যক্তির দুর্নীতি প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী উপকার হল? জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।এ বিষয়ে জানতে,সাব রেজিষ্টার  হাফিজুর রহমান কে একাধিক বার মুঠোফোন ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।

0Shares

শেয়ার করুন