
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা, ঘণবসতিপূর্ণ স্থানে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা, শিশুশ্রম, কাঠ পোড়ানো ও পরিবেশ দুষণের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে চারটি ইটভাটা বন্ধ ও নয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার চরকাদিরা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে পৃথক অভিযান করে এ জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত তিন মাসে বেস কয়েকটি ভাটায় উপজেলা প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানে অন্তত ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনমাসে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এর মালিকদের অন্তত ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত উজ-জামান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আরাফাত হোসাইন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা এডি মো. হারুনর রশীদ, স্থানীয় থানা পুলিশ সদস্য আনসার সদস্য , সেনাবাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ২৯ (এপ্রিল) মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ভাটা মালিক মাইন উদ্দিনের পরিচালিত মেসার্স হাজী হক ব্রিকৃস এর ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার , একই ইউনিয়নের মো. সুমনের মালিকানাধীন মেসার্স তাহেরা ব্রিকস এর আড়াই লাখ টাকা, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের আরিফ হোসেনের মেসার্স মদিনা ব্রিকস এর দুই লাখ ও একই ইউনিয়নের মো.ইউসুফ কোম্পানির মেসার্স রহিমা ব্রিকস এর দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ইউএনও মো. রাহাত উজ-জামান বলেন, ‘অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনার দায়ে চার ইটভাটা মালিককে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চিমনি ও কাঁচা ইট বিনষ্ট করে ভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’