
রামগতিতে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেস্টার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধায় শিশুটির মা বাদি হয়ে রামগতি থানায় অভিযুক্ত মাকসুদকে (৪২) একমাত্র আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কবির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার একমাত্র আসামি অভিযুক্ত মাকসুদ শিশুটির ফুফা হয়। সে একই উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের কারামতিয়া এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। পেশায় একজন জেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় , গত (২০ এপ্রিল) রোববার দুপুরে আলেকজান্ডার পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মাওলানা নাছির উদ্দীনের বাড়ির একটি ভাড়া বাসায় আসামী মাকসুদ শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অভিযুক্ত সম্পর্কে শিশুটির ফুফা হয়। শিশুটি তার মা বাবার সঙ্গে ওই বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকত। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন , ঘটনার দিন শিশুটির মা তার বোনের প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে যান। তার স্বামী শিশুটির বাবা জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিনের মতো রিকশা চালাতে বেরিয়ে পড়েন । এই সুযোগে ঘরে প্রবেশ করেন অভিযুক্ত মাকসুদ। ঘরে শিশুটিকে একা পেয়ে মাকসুদ শিশুটির পরনের পায়জামা খোলার জন্য জোরাজুরি করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে । শিশুটি তার পরনের পায়জামা না খোলায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে ঘরে থাকা একটি চিরুনী দিয়ে শিশুটিকে মারধর করে অভিযুক্ত মাকসুদ ।
পরে
শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং আসামি মাকসুদ তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা মাকসুদকে আটক করে ছয় বেত্রাঘাত ও কানধরে উঠবস করিয়ে গ্রামছাড়া করেন। ভবিষ্যতে এধরণের কাজ কখনো আর করবেনা এবং এলাকায় আসবেনা বলে তার থেকে মুছলেকা নেন স্থানীয়রা।
এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যপক ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি ওঠে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে শিশুটির মা বাদি হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাদ্য হয়।
এ বিষয়ে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাকসুদ নামের একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। আসামি মাকসুদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।