রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, দুপুর ১:০৩

শিবপুর, নরসিংদীর ইটাখোলা জামাল হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট পরিদর্শনে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক

0Shares
নিজস্ব প্রতিনিধি:  গত ১০ই এপ্রিল, বৃহস্পতি বার শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা জামাল হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট পরিদর্শনকালে যে সকল সমস্যা পরিলক্ষিত হয় তার বিবরন, (ক) সমস্যা: হোটেলে গরম ভাতের পাত্র নিউজপ্রিন্ট কাগজ দিয়ে ডেকে রাখা অবস্থায় পাই। নিউজ প্রিন্ট কাগজ দিয়ে কখনই খাবার ডাকা যাবে না। কারণ - (১) নিউজপ্রিন্ট কাগজ স্বাস্থ্য সম্মত নয়। (২) কাগজ পড়ার পর দীর্ঘ দিন ধূলো ময়লা যুক্ত থাকে। (৩) গরম ভাতের উপর কাগজ রাখলে গরমতাপে কাগজের কালি ভাতের গায়ে ছড়ায়ে যায়। এ কালি কার্বন এবং এক ধরনের ক্যামিকেল বটে। তাই দীর্ঘ দিন এ কালি খেলে ক্যান্সার ও কিডনী রোগ হতে পারে। (খ) সমস্যা : কর্মচারীর হাতের আঙ্গুলে আংটি পরিহিত অবস্থায় খাবার পরিবেশন করতে দেখি। খাদ্য কর্মী খাদ্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় কখনই হাতে ঘড়ি, ব্রেশলেট, মাজারের সূতা, আংটি, নখ বড় রেখে কাজ করা সম্পূর্ণ নিষেধ। কারণ : এ সকল মাধ্যমে খাবার দূষণ হয়। (গ) সমস্যা : মিষ্টি ধরার কোনো চিমটি (ফরসেপ) পাওয়া যায নাই। মিষ্টি হাতে ধরে বক্সে ভরে ওজন করতে দেখি। যা সম্পূর্ণ নিষেধ। হাতের মাধ্যমে ময়লা বা জীবানু মিষ্টি দূষণ করবে। তাই খালি হাতে কোনো খাবার পরিবেশন বা বিতরন করা যাবে না। ভবিষ্যতের জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক করা হলো। ভবিষ্যতে এর পূন:রাবৃত্তি হলে নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সকল ভোক্তার প্রতি আবেদন আপনারা খাবার ক্রয় বা রেস্টুরেন্টে খাবার সময় একটু দেখে নিবেন, আপনাকে যে খাবারটা পরিবেশন করছে তার নখ বড় কিনা?, তার হাতে কোনো আংটি, ঘড়ি, ব্রেশলেট আছে কিনা, সে টেবিল মুছে হাত না ধুয়ে ঐ হাত দিয়েই খাবার বিতরন করল কিনা?, একই ব্যক্তি টাকা ধরে সরাসরি খাবার পরিবেশনে গেলো কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি ------ এভাবে , মো: নুরুল ইসলাম উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক, আরও জানান, ভোক্তার সচেতনতাই অনেকাংশে পারে খাদ্য ভেজাল ও দূষণ মুক্ত করতে। এ ধরনের পরিদর্শন নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।
0Shares

শেয়ার করুন