মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বিকাল ৩:১৯

কমলনগরে ঈদ পুনর্মিলনী, অংশ নিবেন তিন দশকের  ভাঙনকবলিত মেঘনাপাড়ের মানুষ 

31Shares

কমলনগরে বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মেঘনা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।  ভাঙ্গনের মুখে গ্রাম- গঞ্জ, হাট বাজারসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।

সহায় সম্বল বসতভিটা হারানো পরিবারগুলো কমলনগর সহ ভোলা লক্ষ্মীপুর , নোয়াখালী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করছেন। যে যেখানেই বসবাস করছেন, তবে নিজ জন্মভূমির কথা কখনোই ভোলার নয়। স্মৃতির ক্যানভাসে শৈশব কৈশোরের নানা কল্প কাহিনি তাড়া করে ফেরায় ভাঙন কবলিতদের মনে।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নানাবিধ কর্মে আবদ্ধ মানুষগুলো এবারের ঈদকে সামনে রেখে নারীর টানে বাড়িতে ফিরছেন। দীর্ঘ সময়ের টানাপোড়েনের মাঝে প্রিয় মুখগুলোর দেখা পাওয়াটাই পরম আনন্দের। আর এ আনন্দকে স্মৃতির দৃশ্যপটে ধরে রাখতে ঈদ পরবর্তী মিলন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন পরবর্তী মঙ্গলবারের এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে মেঘনারপাড়ের অগণিত মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। উপজেলার কে,পি,হাট উচ্চ বিদ্যালয মাঠে এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে।  এতে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া সাবেক চর জগবন্ধু,কাদির পন্ডিতের হাট,সেন্টার,হাজীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, সাহেবের হাট,তালতলি,নাছির গঞ্জ, সফিকগঞ্জ, আজু বেপারীরহাট, সাহেবেরহাট, ছাইদমুহরীরহাট, লুধুয়া ফলকন, পাটোয়ারীরহাট অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষের মিলনমেলা হবে।

প্রতি বছর সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ আয়োজন হয়ে আসলেও এবারের আয়োজনটি একটু ব্যতিক্রম হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। কে.পি.হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার সকল ধরনের প্রস্তুতি চলছে । অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এখানকার অগণিত সফল মানুষরা অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন আয়োজকরা। এতে করে শৈশবের ভুলে থাকা অতীত স্মৃতির দ্বার উন্মোচিত হবে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার হাজারো প্রাণের উল্লাস হবে ভাঙনের মুখে সম্পর্কের ঘাটতি পড়া নবীন প্রবীণদের।  বিকেলে ৩ টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু করে  সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে রাতে।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজক ও জামায়াত নেতা সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন জানান, বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের বিশ্তৃর্ণ জনপদ বিলীন হয়েছে। ঘরবাড়ি সহ অসংখ্য বিদ্যাপিঠ বিলীন হয়েছে।  শৈশব কৈশোরের অগনিত বন্ধু বান্ধব রয়েছেন যারা এ জনপদ থেকে বেড়ে উঠে পড়াশোনার মাধ্যমে গুণিজন হয়েছেন। বাৎসরিক ঈদ উৎসবে ঘরে ফেরা সকলের সাথে আনন্দ দু:খ বেদনা আর অতীত স্মৃতি স্মরণ করতেই মুলত ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ভালোভাবে শেষ করতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এম/শা/ কা/

31Shares

শেয়ার করুন