শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৪৪

কমলনগরে ভিজিএফের চাল পেলেন ১ হাজার ৮শ জেলে

0Shares

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনায় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় ভিজিএফের চাল পেলেন ১ হাজার ৮শ জেলে।
শনিবার সকালে  উপজেলার সাহেবেরহাট ইউনিয়নে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে প্রকৃত জেলেদের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে এ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়।
এতে প্রকৃত জেলেরা বিগত সময়ের চেয়ে  যথাসময়ে চাল পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, উপজেলায় সাড়ে আটাশ হাজার কার্ডধারী জেলে রয়েছে। এরমধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ১৩ হাজার ১৬৭ জন জেলের নাম সুফলভোগী তালিকায় নিবন্ধিত হয়। সাহেবেরহাট ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৯ জন। এদের মধ্যে যাচাই- বাছাই করে  এক হাজার ৮০০ জন  তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণকালে ট্যাগ অফিসার হিসেবে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবদুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে অনেকেই এখন জেলে পেশায় নেই। তারা কেউ প্রবাসি,কেউ অটোরিকশা ও সিএনজি চালক। চলতি বছরের সুফলভোগীদের তালিকায় প্রকৃত জেলে নয় এমন অসংখ্যজনকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বাদ করেছেন উপজেলা মৎস্য অফিস কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানান, এর আগে তালিকা ভুক্ত জেলের সংখ্যা ২হাজার ৭০০ জন ছিল। ওই তালিকা যাচাই বাছাই করে প্রকৃত পেয়েছে ২ হাজার ৩৩৯ জন। ফলে বঞ্চিত জেলেরা বিভিন্ন পেশার হলেও পরিষদ সংশ্লিষ্ট অসাধু একটি চক্রের মাধ্যমে টাকার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে যাচাই- বাছাইয়ে তারা বাদ পরে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চাল বিতরণের দিন তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।
সুফলভোগী হাদিছ মাঝি, সিরাজ মাঝি,সিরাজ মাঝি, আবদুল আলী ও মোসলহ উদ্দিন বলেন আমরা ৪০ কেজি করে সরকারী চাল  সহায়তা পেয়ে খুবই খুশী। বিনামূল্যে চাল পেয়ে ভালো লাগলো।

অত্র ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল কাশেম বলেন, আমরা বরাদ্দকৃত জেলেদের চাল ট্যাগ অফিসার ও প্রশাসকের উপস্থিতিতে শতভাগ নিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করেছি। এসময়  ইউপি সদস্য মো. হেলাল ও মো. মাসুদসহ অন্যান্য মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিসংখ্যান ও ওই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার আবদুল আজিজ বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে আমরা জেলেদের চাল বিতরণে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নের প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন,  মেঘনায় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা ১ হাজার আটশত জেলেকে চাল সহায়তা  দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের ভিজিএফ নিয়মানুযায়ী আমরা বিতরণ করেছি। পরের ধাপেও এমন ধারা অব্যাহত থাকবে।

0Shares

শেয়ার করুন