শনিবার, ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বিকাল ৫:১৯

শ্রীমঙ্গলে পোস্ট মাস্টারকে হয়রানি

0Shares

চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার : শ্রীমঙ্গলে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে মামলা ও মানববন্ধন করে পরিকল্পিত ভাবে চাকুরীতে ব্যঘাত ঘটাতে ও সামাজিক ভাবে সম্মান হানী করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করছেন। ভুক্তভোগী শ্রীমঙ্গল প্রধান ডাকঘর এর পোস্ট মাস্টার পদে কর্মরত আব্দুল মতিন বলেন- গত ২৫ অক্টোবর সিরাজুল ইসলাম হাসান নামে এক ব্যক্তি আমার বাসায় এসে আলাপচারিতায় এক পর্যায়ে আমাকে বলেন, আপনি শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন। আপনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। আমি আপনার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে চাই। আপনি শ্রীমঙ্গলসহ আপনার মূল বাড়ি চুনারুঘাট এলাকায় জমি-বাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আপনি যদি চান তাহলে আমি নিউজ প্রকাশ করবো না। তবে শর্ত হচ্ছে আমাকে খুশি করতে হবে। এসময় আমি বলি- আমি যদি অবৈধ ভাবে অঢেল সম্পদ বানিয়ে থাকি তাহলে আপনি আমার বিরুদ্ধে নিউজ করতে পারেন। এই কথা শুনে সিরাজুল ইসলাম হাসান আমার বাসা থেকে চলে যান। কয়েকদিন পর শুনতে পারি আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, আব্দুল মতিন এবং আরও কয়েকজন ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে সিরাজুল ইসলামকে হুমকি ও অন্যান্য কার্যক্রমে বাধা দিয়েছেন। এছাড়া, মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর ও ২৬ অক্টোবর দুইটি পৃথক ঘটনায় তাকে শারীরিক ও মানসিক হুমকি দেওয়া হয়েছে। মামলাকারী সিরাজুল ইসলাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি আব্দুল মতিনের সাথে তার সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে ফোনে হুমকি পান এবং পরে দলবদ্ধভাবে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। তিনি আরও দাবি করেন, তার মানহানির উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিভিন্ন পোস্ট করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আরো বলেন, সিরাজুল ইসলাম হাসান বিভিন্ন সময় আমার বাসায় লোকজন পাঠিয়ে আমাকে হামলা হামলার ভয় ভীতি দেখান। মামলা দিতে দিতে আমাকে অস্তিত্ব বিহীন করে দিবেন। যদি ভালো মনে করি, তাহলে ৫০ হাজার দিতে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ডিসেম্বর মাসে আমাকে আরেকটি মামলার আসামি করা হয়। এই মামলার বাদী তার করা আগের মামলার সাক্ষী। আমি বিষয়টি সাংবাদিকসহ আমার অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবগত করি। তার দায়েরকৃত মামলাটি পিবিআই তদন্ত করেন। পিবিআই তাদের তদন্তে মামলাটিতে উল্লেখিত বিষয়বস্তুুর কোন সত্যতা পাননি। মামলা করেও সে কোন সুহারা না পেয়ে নিজের অপরাধ আড়াল করতেই বিগত ২২ জানুয়ারী মৌলভীবাজার শহরে একটি মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে সে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট বিভিন্ন অপপ্রচার তুলে ধরে। পরবর্তীতে সে হামলার শিকার ও হুমকির সম্মুখীন উল্লেখ করে মিথ্যা ও সাজানো সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছে। যার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। দীর্ঘদিন যাবত আমাকেও আমার পরিবারকে সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে হেনেস্তা করছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমি এর বিচার চাই। হাসান আমাকে ও আমার পরিবার-কে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। এসব হুমকির কানলে  নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। তিনি আরো বলেন, আমি সরকারি চাকুরির পাশাপাশি ব্যক্তিগত ব্যবসা বানিজ্য করে সম্মানের সাহিত বসবাস করে আসছি। একটি কুচক্রী মহল আমার বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক মামলা দায়ের করছে। দীর্ঘদিন ধরে আমি পোস্টমাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সিরাজুল ইসলাম চাঁদা চেয়েছিলেন, যা আমি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ আনেন। আমি সব সময় আইন মেনে চলেছি। আমার বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগ অসত্য। আমার সততা এবং ন্যায়পরায়ণতা প্রশ্নবিদ্ধ করার এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।

0Shares

শেয়ার করুন