কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার মাস্টারপাড়া চন্দ্রখানা গ্রামেন ছবির উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান ঢাকা গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা মাঠে যান। কিন্তুু গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠে তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও মাওলানা জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়ে দীর্ঘ ৪০ দিন মিজাুনর রহমান( ৪০) ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় থাকে। গতকাল সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঢামেক মর্গে অপেক্ষমাণ নিহতের ভগ্নিপতি মোছাদ্দেকুল হক নিহতের লাশ নিতে যান। এসময় তিনি জানান নিহত পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক তিনি। মোছাদ্দেকুল আরও বলেন, ‘গত ১৭ ডিসেম্বর গ্রাম থেকে জোড় ইজতেমায় অংশ নেওয়ার জন্য টঙ্গী মাঠে এসেছিলেন মিজানুর। রাতে রাতে ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে আহত হন তিনি। মুসল্লিরা তাঁকে রাতেই টঙ্গী আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেলের আইসিউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ঘটনার দুদিন পর স্বজনরা খোঁজ পেয়ে হাসপাতালে এসে তাঁকে দেখতে পায়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মিজানুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী। তিনি সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, গত ১৭ ডিসেম্বর দিনগত রাতের দিকে টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে মারা গেছেন মিজানুর রহমান। এসআই আশরাফ আলী বলেন, ‘মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান। এবিষয়ে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।