
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সম্পর্কের জেরে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেড় হয়ে স্থানীয় একটি কফি শপের কেবিনে রোমাঞ্চ করার আপত্তিকর দৃশ্যে এক প্রেমিক যুগল আটক হয়েছেন।
শনিবার ১৮ (জানুয়ারি) সকালে উপজেলার জমিদারহাট বাজারের একটি কফি শপের কেবিনে এ ঘটনা ঘটে।
দোকানের সিসিটিভির মাধ্যমে প্রেমিক যুগলের রোমাঞ্চকর এ দৃশ্য দেখে দোকান মালিক তাদের আটক করেন। এসময় নিজেদের তারা প্রেমিক প্রেমিকা বলে পরিচয় দেয়। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দু’জনকে ছাড়িয়ে আনেন প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম নামে এক যুবক। পরে প্রেমিক বেলাল বিয়ের আগেই কৌশলে সটকে পড়েন । তবে তরুনীর পরিবারের দাবি টাকা খেয়ে স্থানীয় কয়েকজন কৌশলে বেলালকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছেন।
পলাতক প্রেমিক বেলাল হোসেন (২৫) সুবর্ণেচর উপজেলার জাহাজ মারা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। অন্যদিকে তরুনী রামগতি উপজেলার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কমলনগরের চরবসু এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, একবছর আগে মোবাইলে পরিচয়ের মাধ্যমে বেলালের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরইমধ্যে একাধিকবার তার সাথে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতেও গিয়েছিল সে।
শনিবার সকালে বেলালের অনুরোধে আলেকজান্ডার মেঘনাপাড়ে দু’জন ঘুরতে যান। এসময় দু’জন জমিদারহাট বাজারের একটি কফি শপে কফি খেতে যান। ওখানে বেলাল তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিলে দোকানের সিসি ক্যামেরায় তা ধরা পড়ে। পরে লোকজন দুজনকে আটক করে। এসময় বেলাল আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। খবর পেয়ে বেলালের প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম সেখান থেকে আমাদের ছাড়িয়ে আনেন। পরে সে সহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে কৌশল করে বেলালকে ছেড়ে দেন ।
তরুণী আরও বলেন, বেলাল আমার সর্বনাশ করেছে সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
এদিকে প্রেমিক.বেলাল হোসেনের মেঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।
কমলনগর থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ এখনো জানায়নি। তবও খোঁজ খবর নিচ্ছি। পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।