রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, দুপুর ১:০৭

কমলনগরে মুন্নির ঝুপড়িঘর যেন মিনি পতিতালয়!

50Shares

 

লক্ষ্মীপুরের – রামগতি আঞ্চলিক মহাসড়কের কমলনগর অংশের (করইতলা – চর লরেন্স বাজার মধ্যবর্তী) চুঙারগোরা নামক স্থানে সড়কের পাশে গড়ে ওঠা মুন্নির ছোট্ট ঝুপড়িঘরটি যেন এখন মিনি পতিতালয়।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ছোট্ট এ ঝুপড়ি ঘরটিতে দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তি চলে আসলেও দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে মুন্নির এমন অসামাজিক কর্মকান্ডে স্থানীয় লোকজন চরম বিব্রতবোধ করছেন। এলাকার যুবসমাজ রক্ষায় দ্রুত মুন্নির এ পতিতালয়ের আখড়া বন্ধ ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি  জানান, মুন্নি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সুন্দরী নারীদের এনে অর্থের বিনিময়ে নিজ ঘরে  পতিতাবৃত্তি চালাচ্ছেন। দিনে এবং রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে খদ্দের এনে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত করায়। নিজের জন্মদাতা পিতা এবং ছোট্ট মেয়েকে পাহারাদার নিযুক্ত করে নিরাপদে এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে মুন্নি।
এছাড়া মুন্নি স্থানীয় একটি মহলকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে নিরাপদে এ অসামাজিক কর্মকান্ড করছে বলেও জানান তারা।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, মুন্নির পাতানো পতিতালয়ে এলাকার উঠন্ত বয়সী যুবকরা ধ্বংস হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষরা তার পতিতালয়ে এসে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন।
তারা বলেন, মুন্নি প্রথমে টাকাওয়ালা এবং দুরের পুরুষদের টার্গেট করে সুন্দরী নারীদের দিয়ে টোপ দিয়ে তার ঘরে নিয়ে আসে। পরে মোবাইলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে নেয়। ওই ভিডিও পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠানো এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাহিদা পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। কখনো আগেই ঠিক করে রাখা তার লোকজন দিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় হাতেনাতে ধরে হাতিয়ে নেয় টাকা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ক্লিপ এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

মুন্নির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে স্থানীয়রা আরও জানান,
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সুন্দরী নারীদের এনে শুধু তার ঘরেই পতিতাবৃত্তি চালাচ্ছেন তা নয়, বাহিরে রাত চুক্তিতে ওই নারীদের ভাড়ায় পুরুষদের হাতে তুলে দেন মুন্নি। দীর্ঘদিন ধরে এ পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসলেও মুন্নির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে অনেকটা খোলামেলাভাবেই চলছে তার এই মিনি পতিতালয়। তারা এ পতিতালয় বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ আসা করছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, মুন্নির বসবাসরত ঝুপড়িঘরটি সড়কের পাশে হওয়ায় খদ্দেররা হুটহাট ঘরে ঢুকে পড়ে। আবার প্রয়োজন শেষে খুব সহজেই সঠকে পড়তে পারেন। তাছাড়া পরিবারের মা বাবা বোন এবং নিজের ছোট্ট সন্তানকে (মেয়ে) পাহাড়াদার রেখে এ অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে সে। তার এ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বেসকয়েকবার প্রশাসনকে বলেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এলাকার যুবসমাজ রক্ষায় হলেও অন্তত মুন্নির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মুন্নির মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেলও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তহিদুল ইসলাম জানান, মুন্নীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন তিনি।

চোঁখ রাখুন পরের পর্বে…

50Shares

শেয়ার করুন