
সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারে ভাতিজীর নির্মানাধীন দোকান ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাচা সোলেমান ও চাচী শাহিনুরের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে ভবানীগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায় শাহজানও চাচা সোলেমান পাশাপাশি রাস্তার দিকে মুখ করা দোকান ঘর রয়েছে। সে হিসেবে
মৃত শাহজানের তিন মেয়ে ফেন্সি, ন্যান্সি, জুহি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দোকান ঘরের পিছনের দিকে তাদের দোকান বরাবর সংস্কার কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিছুটা কাজ করলেও হঠাৎ চাচী শাহীনুর ও চাচা সোলেমান এসে সেখানে বাঁধা দেয় এবং যেটুকু বাউন্ডারি কাজ করা হয়েছে তা ভাঙচুর করে।
বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিরোধকৃত দোকান ঘর সোলেমান ও সাহজানের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি শাহজান এবং ভাই সোলেমান দীর্ঘদিন থেকে দোকান ঘর ভোগ দখল করে আসছে।
তবে শাহজানের মৃত্যুর কয়েক বছর আগে
তার ছেলে সন্তান না থাকায় জীবদশা তার সহায় সম্পত্তি তিন মেয়ে ও স্ত্রী ‘র নামে লিখে দেন।
বাবার রেখে যাওয়া দোকান ঘরের সাথে মিল রেখে কাজ শুরু করার পরপরই চাচী শাহিনুর ও চাচা সোলেমান সম্পত্তি পাবে বলে বাধা দেয়।
এ বিষয়ে চাচী শাহিনুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখনো কোন নিদিষ্ট বন্টন হয়নি, বন্টন না হওয়া পর্যন্ত যে যে অবস্থা ছিল সে অবস্থায় থাকবে এবং ভোগ দখল করবে। সম্পত্তি পরিমাপ করা ছাড়া কোন কাজ করা যাবে না।
এ বিষয়ে চাচা সোলেমান বলেন, আমাদের বাড়ি ঘর জাগা জমি এখনো ও আমার চাচাদের সাথে ভাগ ভাটোয়ারা হয়নি। অনুমান করে আমরা এতোদিন এক একজন এক একটি অংশ ভোগ দখল করে আসছি । আমার ভাই ২০১৯ সালে মারা যায়, যেহেতু আমার কোন ভাতিজা নাই স্বাভাবিক ভাবে ভাইয়ের মেয়েরা সম্পত্তির মালিক হবে। কিন্তু আমার ভাতিজীরা আমার সাথে কোন আলোচনা-পরামর্শ চাড়াই ভাড়াটিয়াদের দিয়ে দোকান সংস্কার কাজ শুরু করছে, তাই আমি কাজ করতে নিষেধ করেছি। সামাজিক ভাবে আলোচনা করে সম্পত্তি ভাগ করার প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু ভাতিজীরা আমার সাথে কিংবা আমাদের বাড়ির কোন মুরব্বির সাথে কথা না বলেই দোকান ঘর নির্মাণ করার কাজে হাত দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়
শাহজানের মৃত্যুর পর শাশুড়ির অনুরোধে শশুরের সকল সম্পত্তি দেখাশোনার ভার পড়ে মেয়ে পেন্সির স্বামী ভুলু উপর।
ভুলু সাক্ষাৎকারে বলেন
আমার শ্বশুর মোহাম্মদ শাহজান জীবদশ ওনার তিন কন্যা এবং স্ত্রীকে ওনার সকল সম্পত্তি দলিল করে দিয়ে যান। উনার মৃত্যুর পর উনার ছেলে সন্তান না থাকায় উক্ত সম্পত্তি গুলো দেখাশুনার করার দায়িত্ব আমার উপর পড়ে।আর সেই সুবাদে আমি এগুলা দেখাশোনা করে যাচ্ছি কিন্তু হঠাৎ করে আমার দোকানের পিছনে আমি যখন বাউন্ডারি করি এবং দোকান ঘর নির্মাণ করতে যায়। আমার শশুরের ছোট ভাই মোহাম্মদ সলেমান এবং উনার স্ত্রী আমার নির্মাণাধীন দোকান এবং বাউন্ডারি ভেঙে ফেলেন। আমি লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাধান ও বিচারের দাবি করছি।