
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সয়াবিন খেতে গরু যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর উপুর্যুপরি হামলায় ১৪ দিন বয়সী এক নবজাতক শিশু ও দুই নারী সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় নবজাতকের মাথা থেতলে যায়। আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । আহত দুই নারীও একই হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার খুরশিদের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী রিনা আক্তার জানান, শুক্রবার বিকেলে তাদের পালিত একটু গরু গলার রশি ছিড়ে প্রতিবেশী দুলালের সয়াবিন ক্ষেতে গিয়ে সামান্য কিছু সয়াবিনের গাছ বিনষ্ট করে। এনিয়ে দুলালের ছেলে গাজী অশালীন ভাষায় রিনা আক্তারকে গালমন্দ করে। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে দুলালের ছেলে গাজী প্রকাশ গাজু রিনা আক্তারকে উদ্দেশ্য করে আবারও অনবরতভাবে গালমন্দ করতে থাকে। এসময় রিনা আক্তার জবাব দিলে পরিকল্পিতভাবে দুলাল ও তার ছেলে গাজী, শরীফ, ভাগিনা শুভ একত্রিত হয়ে রিনার ওপর উপুর্যুপরি হামলা চালায়। হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে রিনা আক্তার তার ছোট বোন ইয়াসমিন বেগম, নাতনি নাবিহা (১৪ দিন) গুরুতর আহত হন। এসময় লাঠির আঘাত আঘাতে শিশু নাবিহার মাথা থেতলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
আহত ইয়াসমিন বেগম বলেন, তাদের পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্য বাড়িতে না থাকার কারণে দুলাল ও তার দুই ছেলে ও ভাগিনা মিলে তাদেরকে বেধড়কভাবে পিটিয়ে ও মেরে আহত করেছে। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কেঁড়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে মোবাইল ফোন ফেরত দিলেও কভারের ভেতরে থাকা ৬ হাজার টাকা ফেরত দেয়নি তারা।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত দুলালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে কেউ তাকে জানায়নি। তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।